বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পরে একবারও বাইশগজে দেখা যায়নি। আইপিএল ও ভেস্তে যাওয়ার মুখে। এমন অবস্থায় ক্রিকেটে ফেরার জন্য ধোনি আসন্ন সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।
যদি তিনি মুস্তাক আলি ট্রফিতে অংশ নেন তাহলে দীর্ঘ একদশকেরও বেশি সময় পরে এই টুর্নামেন্টে খেলতে দেখা যাবে তাকে। ২০০৭ সালে শেষবার খেলেছিলেন তিনি। সেইবারে ৬১.৫০ গড়ে ১২৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন।
জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট এসোসিয়েশনকে ইতিমধ্যেই ধোনি নিজের খেলার বিষয়ে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। লোকডাউন পর্ব মেটার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মহাতারকা।
স্পোর্টসক্রীড়ায় ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট এসোসিয়েশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, "ধোনি ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট এসোসিয়েশনের মাঠে অনুশীলন করছে। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের সঙ্গেও ওর যোগাযোগ রয়েছে।"
পাশাপাশি তিনি জানান, "পরের বছর সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি খেলার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ধোনি। আগেই ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ওকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য ক্রিকেটকে সবসময় ধোনি কিছু ফিরিয়ে দিতে চায়। এখন তাড়াহুড়োর কোনো বিষয় নেই। লকডাউন পর্বের পর ধোনি নিজের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আইপিএলের জন্য মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলে প্রস্তুতি সারতে চায় ও।"
ধোনি জাতীয় দলের জার্সিতে প্রায় এক বছর খেলেননি। একাধিকবার অবসরের কথা উঠলেও ধোনি সেপথে হাঁটেননি। দেশ ও বিদেশের মাটিতে পরপর সিরিজে অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে ৬মাস না খেলায় কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি। নির্বাচকরা একাধিকবার ভবিষ্যতের কথা বললেও ধোনি জাতীয় দলে ফিরতে চান। আইপিএলে পারফর্ম করেই ফের টিম ইন্ডিয়ায় ফিরতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। আসন্ন বিশ্বকাপে খেলার মানসিক প্রস্তুতিও সারা ছিল।
তবে এর মধ্যেই করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিশ্বে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষের কাছাকাছি লোক মারা গিয়েছেন এই ভাইরাসের কবলে পড়ে। প্রায় ১.৫ মিলিয়নের বেশি লোক এখনও লড়াই করছে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এমন অবস্থায় আইপিএল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। পিছিয়ে গিয়েছে ধোনির প্রত্যাবর্তনও।