বিশ্ব ক্রিকেটে সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২০০৭ থেকে ২০১৬- নিজের অধিনায়কত্বের কেরিয়ারের নতুন নতুন শৃঙ্গ ছুঁয়েছেন তিনি। সিনিয়র ক্রিকেটাররা ২০০৭-এর টি২০ বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। তারপর নতুনদের নিয়েই বাজিমাত করেন ক্যাপ্টেন কুল। ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভিবি সিরিজও জেতে ধোনির টিম ইন্ডিয়া।
আর ২০১১-য় বিশ্বকাপের ফাইনালে সেই হেলিকপ্টার ষ্টে ছক্কা তো ক্রিকেটের রূপকথায় পর্যবসিত। ২০১৩-য় আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার সঙ্গেই বিরল কীর্তির অধিকারী হয়ে যান তিনি। প্রথম কোনো ক্যাপ্টেন হিসাবে তিনটে আইসিসি ট্রফি জেতার বিরল নজির স্পর্শ করেন তিনি।
আরো পড়ুন: আইপিএলে খেলে এখনো টাকা পাননি! বিস্ফোরক অভিযোগ কেকেআরে খেলা বিদেশির
আর ক্রিকেট কেরিয়ার যত উত্তুঙ্গ সাফল্যের শীর্ষে উঠেছে ততই কমার্শিয়াল জগতে ধোনির চাহিদা বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। বলিউড দুনিয়ায় ধোনির বায়োপিক তো এখন সুপারহিট। ২০১৬-য় ধোনির বায়োপিক, 'এমএস ধোনি, দ্য আনটোল্ড স্টোরি' মুক্তি পায়। প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত পর্দায় ধোনির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। আর সাক্ষী ধোনির চরিত্রে দেখা যায় কিয়ারা আদবানিকে। নিজের জীবনীর স্বত্ত্ব বিক্রি করে ধোনি বিশাল পরিমাণ অর্থ পেয়েছিলেন।
কুইন্ট-এর এক প্রতিবেদনে ধোনি ঘনিষ্ট এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, নিজের জীবনীর স্বত্ত্ব বিক্রি করার জন্য ধোনি পেয়েছিলেন ৪৫ কোটি টাকা। আর তাঁর ভূমিকায় অভিনয় করা সুশান্ত সিং রাজপুত পান মাত্র ২ কোটি।
"নিজের জীবনীর স্বত্ত্ব বিক্রি, ছবির প্রচারে যাওয়া, দুষ্প্রাপ্য ছবি, ডকুমেন্ট, তথ্য সমস্ত কিছুর বিনিময়ে ধোনিকে দেওয়া হয় ৪৫ কোটি টাকা। আর ধোনির চরিত্রে অভিনয় করা সুশান্ত সিং রাজপুত পান ২ কোটি। ধোনির বিজনেস ম্যানেজার অরুণ পান্ডে ছিলেন ছবির সহ প্রযোজক। সুশান্ত সিং রাজপুতের থেকেও বেশি অর্থ পেয়েছিলেন তিনি- ৫ কোটি।" জানিয়েছেন সেই সূত্র।
ধোনির ছক্কায় বায়োপিক শেষ হওয়া ছবি বক্স অফিসে তুমুল হিট হয়। সিনেমা মুক্তির আগেই সমস্ত বিনিয়োগের অর্থ তুলে নেন নির্মাতারা। যাইহোক, বিশ্বকাপ জয়ের আট বছর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলে গিয়েছেন ধোনি। ২০১৯-এ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শেষবার জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। গতবছর আইপিএলের আগেই অবসরের কথা ঘোষণা করেন মহাতারকা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসর নিলেও এখনো আইপিএলে খেলে চলেছেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন