স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে হয়ত এই তিন জনই ফুটবল প্রশিক্ষণের কাজে যুক্ত থাকতেন। তবে করোনা কাল বদলে দিয়েছে অনেক কিছুই। প্রসাদ ভোঁসলে এখন সবজি বিক্রি করেন। শ্রীবাস্তব বাড়িতে কেবাব বানিয়ে বিক্রি করেন এবং সম্রাট রানা একটি রেস্তোরাঁর ডেলিভারি বিভাগে কর্মরত। এই তিনজনই মুম্বইয়ের প্রখ্যাত ফুটবল কোচ। একাধিক ফুটবল একাডেমিতে কোচিং করতেন তাঁরা। তবে সঙ্কটের সময় বলে দেওয়া হয়েছে আপাতত এখনই তাঁদের আর প্রয়োজন নেই।
তিনি যে স্কুলে চাকুরিরত ছিলেন, সেখানে শারীরবিদ্যা, মিউজিক এবং ডান্স শিক্ষকদের ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই মুম্বইয়ের শহরতলি কান্দিভলিতে সবজি বিক্রি করছেন।
নিজের দুর্দশার কথা জানাতে গিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ভোঁসলে বলছিলেন, "আমি ফিজিক্যাল এডুকেশনে মাস্টার্স করেছি। তবে যখন পেট খালি থাকে তখন আর এসব কথা চিন্তা করিনা। এখন সবজি ভরে ঠেলাগাড়িতে নিয়ে রাস্তায় বিক্রি করি।"
শ্রীবাস্তবের গল্প আবার অনেকটাই আলাদা। দিনের বেলায় দুটো স্কুলে বাচ্চাদের প্রশিক্ষণ দিতেন। বিকালে একটি ফুটবল একাডেমিতে কোচিং করতেন। ব্যাঙ্গালোরের একটি সংস্থার অধীনে তিনি কোচিং করতেন। জুন মাসে তাঁকে বলে দেওয়া হয় এখন তার বেতন দেওয়া সম্ভব হবে না।
শ্রীবাস্তব বলছিলেন, "গত বেশ কয়েকমাসের টাকা আমি পাইনি। হঠাৎ করেই আমার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হয়। আমার বাবা অবসরপ্রাপ্ত। তাই আমাকেই এখন কেবাব বিক্রি করতে হচ্ছে।"
সম্রাট রানা আবার সিএসপিআই-য়ের ফুটবল কোচিং একাডেমির প্রধান ছিলেন। মুম্বইয়ের নয়টি জায়গায় এই সংস্থার কোচিং সেন্টার রয়েছে। যুব আইলিগ দলেরও প্রশিক্ষণ করতেন তিনি। তাঁর ভাইও প্রশিক্ষণের কাজে যুক্ত। তবে করোনা-কালে দুই ভাইই আপাতত কর্মহীন। তিনি দুঃখের সঙ্গে বলছিলেন, "জম্যাটো, সুইগির মত কোম্পানিতে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু ওখানে কোনো কর্মখালী নেই। তাই কাছের একটি রেস্তোরাঁয় ডেলিভারি বয় হিসাবে কাজ করছি।"