Musheer Khan, Australia, India-A: সরফরাজ খানের ভাই মুশির খানকে পুরস্কৃত করতে চলেছে বিসিসিআই। এমনটাই জানা গিয়েছে রিপোর্টে। ১৯ বছর বয়সি মুশির খান এবার স্বপ্নের প্রথম-শ্রেণির মরশুম খেলেছেন। তাঁকে ভারত এ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে পাঠানো হতে পারে। সেখানে তিনটি 'চার দিনের' টেস্ট হবে।
রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালে ডাবল সেঞ্চুরি এবং ফাইনালে সেঞ্চুরি করার পর, মুশির ভারত এ-এর বিরুদ্ধে ভারত বি-এর হয়ে দলীপ ট্রফিতে ১৮১ রান করে নির্বাচকদের মুগ্ধ করেছেন। অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ভারত এ দল দলীপ ট্রফির পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে বাছাই করা হবে। রেস্ট অফ ইন্ডিয়া এবং রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন মুম্বইয়ের মধ্যে কাপ ম্যাচ, অস্ট্রেলিয়া সফরের আগেই অনুষ্ঠিত হবে। তবে কয়েকজন টেস্ট বিশেষজ্ঞ এবং পেসারকে তাড়াতাড়ি অস্ট্রেলিয়া পাঠানো হতে পারে। দুটি নাম যা ইতিমধ্যেই নির্বাচকরা বেছে ফেলেছেন, তা হল- মুশির ও রাজস্থানের বাঁহাতি স্পিনার মানব সুথার। এর মধ্যে সুথার রবীন্দ্র জাদেজার পরবর্তী সেরা বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে সৌরভ কুমারকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন।
সূত্রের খবর, কোনও ফিটনেস সমস্যা না থাকলে, ভারত এ দলের হয়ে মুশিরের অস্ট্রেলিয়া সফর প্রায় নিশ্চিত। মুশিরের ঘনিষ্ঠদের অনেকের বিশ্বাস যে তাঁর প্রতিভা এবং রঞ্জি ট্রফির ফাইনালের মত বড় জায়গায় আকাশ দীপ, খলিল আহমেদ এবং আভেশ খানদের আক্রমণ সামলানো মুশির অস্ট্রেলিয়ায় নির্ঘাৎ সাফল্য পাবেন।
সূত্রের খবর, কোনও ফিটনেস সমস্যা না থাকলে, ভারত এ দলের হয়ে মুশিরের অস্ট্রেলিয়া সফর প্রায় নিশ্চিত। মুশিরের ঘনিষ্ঠদের অনেকের বিশ্বাস যে তাঁর প্রতিভা এবং রঞ্জি ট্রফির ফাইনালের মত বড় জায়গায় আকাশ দীপ, খলিল আহমেদ এবং আভেশ খানদের আক্রমণ সামলানো মুশির অস্ট্রেলিয়ায় নির্ঘাৎ সাফল্য পাবেন। সবচেয়ে বড় কথা, টেস্ট খেলার মেজাজ যে মুশিরের রয়েছে, তাঁর ৩৭৩ বল খেলাই সেটা প্রমাণ করেছে। ১১৬ ওভারের মধ্যে ৬২.১ ওভার মুশির টেল এন্ডার নবদীপ সাইনির সঙ্গে জুটি গড়ে খেলে গিয়েছেন।
আর, সুথারের ক্ষেত্রে বলা যায় যে, অজিত আগরকার ও তাঁর সহকর্মীরা ধীরে ধীরে তাঁকে অক্ষরের মত করে তোলার দিকে নজর দিচ্ছেন। সুথারকে নিয়মিত এ দলের ট্যুরে রাখছেন। যাতে, জাদেজার অবসরের পরই সুপার দ্বিতীয় বাঁহাতি অর্থোডক্স বোলার হয়ে সামলাতে পারেন।
এদিকে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে সরফরাজ খানের পারফরম্যান্স সবাইকে মুগ্ধ করেছে। কিন্তু, কেএল রাহুলের অভিজ্ঞতা তাঁকে প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে রাখবে। চেন্নাইয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট। সেই ম্যাচে রাহুল না সরফরাজ, কে সুযোগ পান, সেটাই এখন দেখার। তবে, রাহুলের ৫০টি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এটাই তাঁর প্লাস পয়েন্ট।
আরও পড়ুন- ভারতকে হারাতে সেরার সেরা একাদশ গড়ছে বাংলাদেশ! প্রথম টেস্টেই এই দল নামাচ্ছে টাইগার বাহিনী
এই ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে, 'বাইরের লোকেদের জন্য, তারা বুঝতে পারে না যে একটি দল কীভাবে কাজ করে এবং সেখানে কী ব্যবস্থা রয়েছে। তার শেষ তিনটি টেস্ট ম্যাচে কেএল রাহুল দক্ষিণ আফ্রিকায় সেঞ্চুরি করেছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ের সেরা টেস্ট পারফরম্যান্সের মধ্যে যা অন্যতম। এছাড়া ইনজুরির আগে হায়দরাবাদে শেষ টেস্ট ম্যাচে একটি ৮৬ করেছিলেন। তাকে বাদ দেওয়া হয়নি। তিনি চোট পেয়েছিলেন। তিনি এখন ফিট। দলীপে ৫০ রান করে তার প্রমাণ দিয়েছেন।'