বুধবারই আইপিএল চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরকারিভাবে সরে দাঁড়িয়েছেন শশাঙ্ক মনোহর। তারপরেই মনোহরের দিকে তোপ দাগলেন বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি এন শ্রীনিবাসন। সাফ জানিয়ে দিলেন, ভারতীয় ক্রিকেটের ক্ষতি করে বিশ্বের কাছে বিসিসিআইয়ের প্রাসঙ্গিকতা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন তিনি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে সাক্ষাৎকারে শ্রীনি জানান, "বিসিসিআই-য়ে যখনই নতুন প্রজন্মের কোনো নেতা উঠে এসেছে, মনোহর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগত। ও জানত, এখানে ওর ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত নয়। তাই ও পালিয়ে গেল।"
আইসিসির প্ৰথম স্বাধীন চেয়ারম্যান হিসাবে ২০১৫ সালে দায়িত্ব নেন শশাঙ্ক মনোহর। এর পর টানা দুই টার্মে ক্ষমতায় ছিলেন। তবে নিজের বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিলই ভারতীয় এই ক্রিকেট প্রশাসকের কাছে। আইসিসির রুল বুক-ই বলছে, স্বাধীন চেয়ারম্যানরা তিনটে টার্ম পদে থাকতে পারেন। তবে মনোহর দুই টার্মের পরেই সরে দাঁড়ালেন সুযোগ থাকা সত্ত্বেও। তাঁর পরিবর্তে অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান হয়েছেন হংকংয়ের ইমরান খোয়াজা।
তবে শ্রীনির দাবি, বিসিসিআইয়ের প্রশাসক হিসাবে সৌরভ গাঙ্গুলী, জয় শাহ এর আসার পরই পালিয়ে যেতে একপ্রকার বাধ্য হলেন মনোহর।
ভারতীয় ক্রিকেটের একসময়ের বেতাজ বাদশা জানালেন, "ভারতীয় ক্রিকেটের এতটাই ক্ষতি করেছে ও যে দেশের ক্রিকেট মহল ওঁর প্রস্থানে খুশিই হবে। ভারতীয় ক্রিকেটের অর্থনীতিতেই আঘাত করেছে ও। মনোহর পুরোপুরি ভারত-বিদ্বেষী। বিশ্বক্রিকেটে ভারতের প্রাসঙ্গিকতা অনেক কমিয়ে দিয়েছে ও। মনোহর এখন পালিয়ে যাচ্ছে, কারণ বর্তমান শাসকরা ওকে মোটেই পাত্তা দেয়না। বিসিসিআইকে কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছেন উনি।"
শশাঙ্ক মনোহরের পদত্যাগের পর আইসিসির চেয়ারম্যান পদের লড়াইয়ে রয়েছেন ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান কলিন গ্রেভস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের প্রাক্তন প্রধান ডেভ ক্যামেরন এবং বিসিসিআইয়ের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।