ভালোবাসার মানুষকে কখনই যেতে দেওয়া যায় না! সৌরভকে এখনও ভুলতে পারেননি নাগমা

সৌরভের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী নাগমা। এমনটাই জল্পনা। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে সেই সম্পর্ক নিয়ে অবশ্য কেউই প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। সেই সময় সৌরভ যথারীতি বিবাহিত। কন্যাসন্তানের পিতাও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

২০০৯-এর এক সাক্ষাৎকারে নাগমা সেই সম্পর্ক নিয়ে প্ৰথমবার মুখ খুলেছিলেন। জল্পনা ছিল সৌরভ-ই সেই সম্পর্ক টেনে নিয়ে যেতে রাজি হননি। টেলিগ্রাফ-এর সেই সাক্ষাৎকারে নাগমা বলেছিলেন, "সেই ঘটনার ক্ষেত্রে, অবশ্যই দুজনের মধ্যে কোনও মনোমালিন্য হয়নি।"

আরও পড়ুন: কোহলির লাল চোখ এবার সৌরভকে! IPL ম্যাচে ফের দুই তারকার সংঘাত প্রকাশ্যে, দেখুন ভিডিও

সেই সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে বলা ছিল, নাগমা কারোর নাম উল্লেখ করেননি। তবে তিনি সেই ঘটনা "মোটেই ভুলে যাননি।" সেই পর্ব নাগমার কাছে পুরোপুরি 'অদ্ভুত' ছিল। বলেন, "লক্ষ মানুষের মধ্যে একজন স্পেশ্যাল হন। আমাদের পেশার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে মোলাকাত হয়। অবশ্যই আলাদা আলাদা ব্যাকগ্রাউন্ড-এর দুজন খ্যাতিমান ব্যক্তি একে অন্যের সঙ্গে সাক্ষাতের পর পছন্দ করেন পরস্পরকে, মানুষ তা নিয়ে বিষয়টি অনেক বড় করে দেখে। আদতে এই জগৎ দুজন বিখ্যাত মানুষের একত্রে থাকা পছন্দ করে না। সেই অপছন্দ এতটাই খারাপ স্তরে পৌঁছে যায় যে একটা ধ্বংসাত্মক প্রভাব রেখে যায়। এবং এটাকে যেতে দিতে হয়।"

আরও পড়ুন: আইনি ঝামেলায় এবার সৌরভ! সরাসরি কোর্টে মামলা উঠল মহাতারকাদের নামে

এর পরেই নিজের বক্তব্য সংশোধন করে নাগমা বলেন, "আমি বলব না 'যেতে দিতে হয়'। কাউকেই আদতে ছেড়ে দেওয়া যায় না। যদি সেই ব্যক্তি জীবনে অর্থবহ কিছু নিয়ে আসেন। যদি সেই মানুষটার সঙ্গে আনন্দের কিছু মুহূর্ত ভাগাভাগি করে নেওয়া হয়, সেই সম্পর্ক, সেই অনুভূতি, অথবা সেই মুহূর্ত- কোনওকিছুকেই আসলে ছেড়ে দেওয়া যায় না। আমার মনে হয়, বন্ধুরা সবসময় বন্ধুই থাকেন। যদি সত্যিসত্যি কোনও সম্পর্ক হয়ে থাকে, তা সহজে আমাদের ছেড়ে যায় না। মানুষ তো এখন নিজের পরিবারের সঙ্গে থেকেও লড়াই করে। এক্ষেত্রে অবশ্য কোনও দ্বন্দ্ব হয়নি।"

আরও পড়ুন: সৌরভের ওপর রাগ এখনও গনগনে! আরসিবি-দিল্লি ম্যাচের পরেই মহারাজকে প্রকাশ্যে অসম্মান কোহলির

জীবনের সেই অধ্যায়ের কথা কখনও প্রকাশ্যে স্বীকার করেননি সৌরভ। ২০২০-তে নাগমা টুইটারে সৌরভকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। সেই টুইটে দুই তারকার সম্পর্কের জল্পনা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল নেট দুনিয়া।

Read the full article in ENGLISH