কমনওয়েলথ গেমসে সেরার সেরা বঙ্গসন্তান অচিন্ত্য, পাঁচলার ছেলের হাত ধরে এল সোনা। পদক জয়ের পর বাংলার ছেলেকে শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটারে লেখেন, “আমাদের সবার কাছে গর্বের মুহূর্ত যে পশ্চিমবঙ্গের তরুণ অচিন্ত্য শিউলি কমনওয়েলথ গেমসে তৃতীয় সোনা জিতেছে। ওঁকে আন্তরিক অভিনন্দন। তোমার সাফল্য দেশের অগুনতি তরুণের কাছে অনুপ্রেরণার কাজ করবে। ভবিষ্যতের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।”
Advertisment
কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের ঝুলিতে এল তৃতীয় সোনা। বাংলার অচিন্ত্য শিউলির হাত ধরেই এবারের কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের পদক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬। ২০ বছর বয়সি অচিন্ত্য শিউলি পুরুষদের ৭৩ কিলোগ্রাম ভারোত্তলন বিভাগে সোনার পদক জয় করলেন। অচিন্ত্য স্ন্যাচ বিভাগে ১৪৩ কেজি ওজন তুলেছেন। পাশাপাশি ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে তিনি ১৭০ কিলোগ্রাম ওজন তুলে দেশের হয়ে এক নয়া ইতিহাস কায়েম করলেন। মোট ৩১৩ কেজি ওজন তোলার সঙ্গেই তিনি সোনার পদকও জয় করলেন।
বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসের ভারোত্তলন থেকে এল ভারতের তৃতীয় সোনা। ছেলেদের ৭৩ কেজি বিভাগে গেমস রেকর্ড গড়ে গোল্ড মেডেল গলায় ঝোলালেন বাংলার অচিন্ত্য শিউলি। একেবারেই নিন্মবিত্ত পরিবারের ছেলের সোনা জয়ের পথটা খুব একটা মসৃণ ছিল না। বাবা ছিলেন পেশায় ভ্যান চালক। বেশ কয়েকবছর আগেই মারা গিয়েছেন। তারপরই সংসারে নেমে আসে অন্ধকার। ভাইকে আগামীর পথ দেখাতে নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দেন দাদা। সোনা জিতেই অচিন্ত্য এই পদক দাদা ও কোচকে উৎসর্গ করেছেন। বাংলার অচিন্ত্যর সোনা জয়ে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও শেয়ার করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, গেমসে অংশগ্রহনের আগেই অচিন্ত্যর সঙ্গে আমার কথা হয়, ও জানায় কীভাবে ওর দাদা-মার থেকে ও সাপোর্ট পেয়েছে।পাশাপাশি অচিন্ত্য শিউলিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি এই টুইট বার্তায় লেখেন ভারতকে গর্বিত করে আপনি ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। আন্তরিক অভিনন্দন!