জয় দিয়ে শুরু করল কেকেআর, ব্যাটে বলে মাত করলেন সুনীল নারিন। চুম্বকে এ বাক্যটাই ম্যাচ রিপোর্ট। কিন্তু এ বললে পুরোটা বোঝা যায় না। ঠিক কতবার তাঁকে চাকার আখ্যা পেতে হয়েছে? ঠিক কতবার তাঁর খেলা শেষ বলে মনে হয়েছে? হিসেব নেই। কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশিবার নিজেকে মাঠে নেমে প্রমাণ করেছেন তিনি। সুনীল নারিন। বিশেষজ্ঞরা তাঁর নতুন ফলো আপ নিয়ে, সোজা কনুইয়ে বলের গতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু নারিন মাঠে বিশ্বাস করেন। সবুজ ঘাস, ২২ গজ, বল, ব্যাট, এসবে তাঁর অগাধ আস্থা। আর আস্থা নিজের উপর। যে আস্থা দিয়ে তিনি মাঠে পারফর্ম করেন। এদিনও করলেন।
নারিন ফিরলেন, এবং জয় করলেন। ইডেনে এদিন উজ্জ্বল হয়ে থাকল তাঁর উপস্থিতি। চার ওভার বল করে ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন শুরুতে। এদিন তাঁর উপরে ভরসা রেখে শুরুতে তাঁকে দিয়েই বোলিং ওপেন করান দীনেশ কার্তিক। নারিন তার মানও রেখেছেন। তবে ইডেন এদিন তাকিয়েছিল নারিনের দিকে নয়, বরং অন্য দলটির দিকে। বিরাট কোহলি কী করেন, সেদিকে নজর ছিল অনেকেরই। প্রত্যাশা অনুযায়ী তেমন আর মাতাতে পারলেন কই বিরাট? ৩৩ বলে করলেন ৩১ রান। স্ট্রাইকরেট বল পিছু ১ রানও নয়। মাত্র ১ টা বাউন্ডারি, আর একটা ওভার বাউন্টারিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল বিরাটকে, ইডেনে তাঁর জন্য গলা ফাটানো দর্শকদেরও। সে তুলনায় ভাল পারফর্ম করলেন এবি ডেভিলিয়ার্স। ২৩ বলে ৪৪ রান, পাঁচটা ছক্কা। বাউন্ডারি একটা। স্ট্রাইক রেট ২০০ র কাছাকাছি।
২০ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭৬ রান তুলেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। একসময়ে মনে হচ্ছিল অনেক বেশিই তুলতে চলেছে তারা। তবে শেষ পর্যন্ত কলকাতার বোলাররা ম্যাচের রাশ বেশ কিছুটা হাতে নিতে সক্ষম হন। পাল্টা ব্যাটে নারিনকে ওপেনে করতে নামানোর পুরনো ফাটকাটা এ বছরও খেলে দিল কেকেআর। এবং চূড়ান্ত সফলও হয়ে গেল। ১৭ বলে এদিন ৫০ করেন নারিন। আগের ম্যাচের রেকর্ড ব্রেকার কে এল রাহুলের থেকে মাত্র তিন বল বেশি খেলে। কলকাতার হয়ে আর ভাল ব্যাট করলেন রানা এবং ক্যাপ্টেন কার্তিক। রানা ২৫ বলে ৩৪ রান করেছেন। কার্তিক ৩৫ রান করেছেন করেছেন ২৯ বলে। রানা এদিন বল হাতেও পারফর্ম করলেন। ১ ওভার বল করে ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি।
আইপিএলের দ্বিতীয় দিনেই নতুন রেকর্ড হয়ে গেল। এদিনের প্রথম ম্যাচে পাঞ্জাব দিল্লিকে হারাল তো বটেই, একই সঙ্গে কে এল রাহুল দ্রুততম আইপিএল পঞ্চাশের রেকর্ড গড়ে ফেললেন। এদিন ১৬ বলে ৫১ রান করেছেন তিনি। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৬৬ রান তোলে। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের রান তুলে নেয় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।