টসের সময় সৌরভ প্রায়ই প্রতিপক্ষ অধিনায়কদের অপেক্ষা করিয়ে রাখতেন। স্টিভ ওয়া-এ সঙ্গে সৌরভের সেই টস-পর্ব তো এখন ক্রিকেটের লোকগাঁথার অংশ হয়ে গিয়েছে। তবে শুধু স্টিভই নন, সৌরভ অপেক্ষা করিয়ে রাখতেন নাসের হুসেনকেও।
আর সেই অপেক্ষায় পরেই সৌরভকে রীতিমত ঘৃণা করতেন ইংরেজ অধিনায়ক। এমন কথাই সম্প্রতি জানালেন নাসের হুসেন। তবে বর্তমানে সৌরভের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছেন তাঁর মত ভালো ব্যক্তি আর হয় না!
স্টার স্পোর্টসের ক্রিকেটে কানেক্টেড অনুষ্ঠানে সৌরভের বিষয়ে তিনি বলতে গিয়ে জানান, "এটা অনেকের মত আমিও বলি যে সৌরভ ভারতকে একটা কঠিন দল হিসাবে গড়ে তুলেছিল। তবে সৌরভের আগে ভারতের দলটাও বেশ প্রতিভাবান ছিল। তবে সেই দলটা অনেক নরম সরম ছিল। যারা সকালে দেখা হলে বলবে, মর্নিং নাসের। শুভেচ্ছা জানাবে।"
তবে সৌরভের আমলেই ভারতীয় দলের এই হাবভাব পরিবর্তন আসে। নাসের বলছিলেন, "সৌরভের দলের বিরুদ্ধে খেললেই বোঝা যেত যেন যুদ্ধ করতে নেমেছি আমরা। সৌরভ একদম ঠিকঠাকভাবে ভারতের ক্রিকেট সমর্থকদের প্যাশন বুঝতে পেড়েছিল। ও বুঝেছিল, এটা কেবলমাত্র স্রেফ একটা খেলা নয়। এটা ক্রিকেট খেলার ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।"
সৌরভ কীভাবে দল গঠন করতো, সেকথাও জানিয়েছেন তিনি। নাসেরের বিশ্লেষণ, "সৌরভ নিজে একজন লড়াকু ক্রিকেটার। আর ও দলে লড়াকু ক্রিকেটারদেরই নিত- সে হরভজন হোক বা যুবরাজ। খেলার বাইরে কিন্তু সৌরভ একজন আদ্যন্ত ভদ্রলোক, ব্যক্তি হিসাবে দারুণ।"
সৌরভ কীভাবে তাঁকে অপেক্ষা করিয়ে রাখত, সেকথাই এরপরে বলেছেন নাসের। "যখন সৌরভের বিরুদ্ধে খেলতাম তখন ওকে রীতিমত ঘেন্না করতাম। প্রত্যেকবার সাড়ে দশটার সময় টসের সময় আমাকে নিয়ম করে অপেক্ষা করিয়ে রাখত। তবে গত এক দশক ধরে সৌরভের সঙ্গে ধারাভাষ্যকারের কাজ করেছি। এখনও ও দেরি করে আসে। তবে ও রীতিমতো শান্ত, ভদ্র ব্যক্তি। ক্রিকেটারদের এমনই হওয়া উচিত। যখন কেউ সেই ক্রিকেটারদের বিপক্ষে খেলবে তখন সে তাঁকে মোটেই পছন্দ করবে না। তবে পরবর্তীকালে যখন সেই ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, তখন বোঝা যায়, তাঁরা কতটা ভালো।"