প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে মেঝেতে শুয়েই রাত কাটালেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাইক্লিস্টরা। এমনকি স্নানের জন্য পেলেন না গরম জল। গত বুধবার থেকে রাজস্থানের জয়পুরে শুরু হয়েছে ন্যাশনাল সাইক্লিং চ্যাম্পিয়নশিপ। এই ইভেন্টে এসেই চরম দুর্ভোগের শিকার হলেন জাতীয় স্তরের সাইক্লিস্টরা। এমনটাই রিপোর্ট একাধিক মিডিয়ার।
জানা যাচ্ছে খাস রাজস্থানেরই ৩০ সদস্যের পুরুষ সাইক্লিস্ট দল পরিকাঠামোর অভাবে ভেলোড্রোমের (ট্র্যাক সাইক্লিং এরিনা) নিচের একটি ৩০X২০ ফুটের হল ঘরে রাত কাটিয়েছেন। মেঝেতে পাতার জন্য অধিকাংশ সাইক্লিস্টকেই তোষক দেওয়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু রাজস্থানে রাতের দিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচেই নামছে। ফলে হাড় কাঁপানো ঠান্ডার সঙ্গে রীতিমতো লড়তে হয়েছে তাদের।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাইক্লিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এস পেরিওয়াল ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “সাইক্লিস্টদের হোটেলে রুম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হোটেল কর্তৃপক্ষ হোটেলের মধ্যে সাইকেল রাখার অনুমতি দেয়নি। কিন্তু সাইক্লিস্টরা প্রায় ৫-৯ লাখ টাকা দামের এক একটা সাইকেল ছেড়ে থাকতে চায়নি। ফলে তারা ভেলোড্রোমের কাছাকাছি ঘরেই থেকেছে।” একই সুরে কথা বলেছেন রাজস্থান সাইক্লিং দলের সদস্য ভাগীরথ বাদু। তিনি জানিয়েছেন, “হোটেলের সুযোগ সুবিধা ভাল। প্রায় সর্বত্রই এরকম সুযোগ আমরা পেয়ে থাকি। কিন্তু হোটেলের মধ্যে সাইকেল রাখতে দেওয়া হয়নি বলেই আমরা থাকিনি। কারণ আমাদের সাইকেল গুলো খুবই দামি।”
আরও পড়ুন: ইতিহাসের জন্ম: বিশ্ব সাইকেল চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের প্রথম পদকজয়ী আন্দামানের এসো আলবেন
রাজস্থান সাইক্লিং অর্গানাইজেশন সদ্যই গঠিত হয়েছে। তারা বলেছে এর বেশি তাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। এই প্রথমবার সেই রাজ্যে তিনটি জাতীয় সাইকেল চ্যাম্পিয়নশিপ চলছে। গত ৩০ জানুয়ারি থেকে যা শুরু হয়েছে। আরও জানা যাচ্ছে যে, প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডের জন্য নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে জয়পুরের এসএমএস স্টেডিয়ামের ২৪-২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ভেলোড্রোম ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের ২২ সদস্যের সাইক্লিং দলকে একটি ছোট হোটেলে রাখ হয়েছিল। এই দলেরই এক সাইক্লিস্ট টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, তাঁরা এরকম ঠান্ডার সঙ্গে অভ্যস্ত নন, এমনকি স্নানের জন্য গরম জলও পাননি তাঁরা। জয়পুরের এই চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের ২৫টি রাজ্যের ৬০০ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে।