Indian footballer Amrita Ghosh: নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশের সঙ্গে টুর্নামেন্ট খেলতে সফরে গেল জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা দল। আর, এই দলে সুযোগ পেয়ে বাংলার নাম উজ্জ্বল করল আরামবাগের অমৃতা ঘোষ। গোয়ায় দেড় মাস ট্রায়াল হয়েছে বাছাই খেলোয়াড়দের। সেখান থেকে অমৃতাকে প্রথম দলে বেছে নেন জাতীয় নির্বাচকরা।
পারুল রামকৃষ্ণ সারদা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী অমৃতার বাবা অসিতকুমার ঘোষ পেশায় গাড়িচালক। আরামবাগ কোর্টে বিচারকের গাড়ি চালান। ছোট থেকেই ফুটবল ছিল অসিত ঘোষের ধ্যান-জ্ঞান। নিজে বড় খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। মেয়ের মধ্যে দিয়ে সেই প্রত্যাশাকে পূরণ করতে তিনি উঠেপড়ে লাগেন। ইতিমধ্যে স্বপ্ন কিছুটা সত্যিও হয়েছে। অনূর্ধ্ব ১৪ বাংলা দলের অধিনায়ক হয়েছে মেয়ে অমৃতা।
দলের সঙ্গে পঞ্জাবের অমৃতসরে খেলতে গিয়েছিল ছোট্ট মেয়েটি। সেখানে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কারও নিয়েছে। আর, তখনই চোখে পড়ে যায় জাতীয় নির্বাচকদের। তারপরই চিঠি দিয়ে তাকে জাতীয় দলে ডাকা হয়। স্কুলের ছাত্রীর এই সাফল্যে খুশি অমৃতার শিক্ষিকারাও। তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, অমৃতা যেন মন দিয়ে খেলে। তার লেখাপড়ার দায়িত্ব শিক্ষিকাদের।
মেয়ের এই সাফল্যের জন্য অমৃতার বাবা যাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি বলে মনে করছেন, তিনি হলেন মহিলা বিশালাক্ষী মাতা কোচিং সেন্টারের কোচ অভিজিৎ দে। বেশ কয়েক বছর ধরে এই কোচিং সেন্টার বিনামূল্যে মেয়েদের ফুটবল প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭০ জন মহিলা ফুটবলার এখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এখানকার ফুটবলাররা গুজরাট, ছত্রিশগড় ত্রিপুরা-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। অসিত ঘোষ নিজেও এই কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত। মেয়েকেও ভর্তি করেছিলেন। এখন তার সুফল পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন- টিম ইন্ডিয়া থেকে বাদ পড়বেন এই তারকারা! সিরিজ জিতেই প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি ক্যাপ্টেন রোহিতের
গর্বিত বাবার কথায়, 'মেয়ে খেলে ফিরুক। ওকে সংবর্ধনা দেব। পাড়া-প্রতিবেশীরা সবাই ওর সাফল্যে বেজায় খুশি। সবাই ওকে নিয়ে গর্ব করছে। বাংলা থেকে দুটো মেয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে। একজন কোলাঘাটের। আর, একজন আমার মেয়ে।' অসিত কুমার ঘোষ বলেন, 'আমি নিজেও গোয়ায় ছিলাম। মেয়ে বাইরে থাকলেও প্রতিদিন রাতে একবার ফোনে কথা হয়। জাতীয় দলের জার্সি মানেই একটা আলাদা ব্যাপার। ও আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছে। আমি লড়াই ছাড়ব না।'