১৩ জুলাই ২০০২। ভারতীয় ক্রিকেটের রেড লেটার ডে। সেদিন ব্রিটিশ তল্লাটে ঢুকে ইংরেজদের বধ করে এসেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের টিম ইন্ডিয়া। ১৬ বছর আগে এই দিনেই ঐতিহাসিক ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ জিতেছিল ভারত। শুক্রবার বিসিসিআই-ও টুইট করে জয়ের মুহূর্তের ভিডিও পোস্ট করে ১৬ তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে।
ন্যাটওয়েস্ট ফাইনাল বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে লর্ডসের ব্যালকনি। সেখানে দাঁড়িয়ে জার্সি খুলে মাথায় উপর ঘুরিয়েছিলেন সৌরভ। বিদেশের মাটিতে বঙ্গজ ঔদ্ধত্যের দলিল লিখে দিয়েছিলেন তিনি। সেবছর মুম্বইতে ভারতকে হারিয়ে অ্যান্ড্রিউ ফ্লিনটফ জার্সি ঘোরান। তাঁরই পাল্টা দিয়েছিলেন সৌরভ।
ন্যাটওয়েস্টে সিরিজের ফাইনালে ইংল্যান্ড টস জিতে প্রথম ব্যাট করেছিল। ওপেনার মার্কাস ট্রেসকথিক (১০৯) ও ক্যাপ্টেন নাসির হুসেনের (১১৫) জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ইংরেজরা ৫০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩২৫ তুলেছিল। জবাবে ভারত শুরুটা দুরন্ত মেজাজে করেছিল। বীরেন্দ্র শেহওয়াগ ও সৌরভের ওপেনিং জুটি ১৪.৩ ওভারে ১০৬ রান তুলেছিল।
অসাধারণ ফর্মে ব্যাট করছিলেন সৌরভ। ৪৩ বলে ৬০ রানের ইনিংসে লর্ডসের বুক চিরে ১০টি চার মেরেছিলেন সৌরভ। ক্যাপ্টেন প্যাভিলিয়নে ফেরার কয়েক বলের মধ্যে বীরুও ফিরে যান ৪৯ বলে ৪৫ করেছিলেন তিনি।এরপর ভারতের মিডল অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। দীনেশ মোঙ্গিয়া (৯), শচিন তেন্ডুলকর (১৪), রাহুল দ্রাবিড়রা (৫) একে একে ফিরে যান। শচিনের আউটের সঙ্গেই এই ম্যাচে জয়ের আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল বলেই মনে করেছিলেন অধিকাংশ ভারতীয়রা।
আরও পড়ুন:EXCLUSIVE: সৌরভের বায়োপিক বানাচ্ছে একতা কাপুরের অল্ট বালাজি
এরপরই ত্রাতার ভূমিকায় উত্তীর্ণ হয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন দেশের দুই তরুণ তুর্কী। যুবরাজ সিং ও মহম্মদ কাইফ ১২১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। ওই চাপের মধ্যেও দুই ক্রিকেটার ফ্রি-ক্রিকেটই খেলে উল্টো চাপ দিতে থাকেন ব্রিটিশদের। যুবি ৬৩ বলে ৬৯ করে আউট হয়ে যান। এরপর হরভজন সিং ১৩ বলে ১৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ক্রিজ কামড়ে থাকেন কাইফ। জাহির খানকে (সাত বলে অপরাজিত চার) সঙ্গে নিয়ে ম্যাচটা বার করে আনেন তিনি। তিন বল বাকি থাকতে দু’উইকেটে জিতে যায় ভারত। এই ম্যাচ ও সৌরভের জামা ঘোরানো ইতিহাস হয়ে যায়।