জ্বর আগেই এসেছিল। তবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার আগেই যোগ দিয়েছিলেন পানিপথের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে। তবে স্টেজে উঠে জ্বরের ঘোরে আর স্থির থাকতে পারেননি। দ্রুত স্টেজ ছাড়েন। গরমের জন্য স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনও কাটছাঁট করা হয়।
Advertisment
কয়েক দিন আগে যখন জ্বরের কবলে পড়েন নীরজ, তখন কোভিড টেস্ট হয় তারকার। রিপোর্ট নেগেটিভই আসে। তবে জ্বরের লক্ষণ নিয়েই স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। নীরজের পরিবারের তরফে টাইমস নাও-কে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বেশ অস্বস্তিতে ছিলেন নীরজ।
দিল্লি থেকে পানিপথের কার রালি-তে অংশ নেন তিনি। সময় লাগে প্রায় ৬ ঘন্টা। এতেই ধকল তীব্র হয় আরও। বিশ্রামের জন্য নীরজকে দ্রুত অজ্ঞাত এক ঠিকানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
টোকিওয় ট্র্যাক এন্ড ফিল্ড ইতিহাসে প্রথমবার সোনা জিতে ইতিহাস গড়ে দেশে ফেরার পরেই অনুষ্ঠানের আতিশয্যে ভেসে যাচ্ছেন ২৩ বছরের মহাতারকা। দিল্লিতে ফিরে একাধিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গিয়েছেন তিনি। গ্রামের বাড়িতেও রাজকীয় সংবর্ধনা পেয়েছেন তিনি।
টোকিওয় ইতিহাস গড়ার পরেই নীরজের মা সরোজ দেবী সংবাদসংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, "ও ফিরে এলেই ওঁকে চুরমা খাওয়াবো। ওঁর সোনার পদক গ্রামের মন্দিরে রাখা হবে। কারণ ঈশ্বরের কৃপাতেই ও এই উচ্চতায় পৌঁছেছে। ওর আসার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।"
নীরজের এক আত্মীয় বলেছিলেন, "ও সোনা জেতার পরেই গ্রামে উৎসবের আবহ। বিরাট সংবর্ধনা আয়োজন করা হচ্ছে। গ্রামের সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ২৫-৩০ হাজার লোকের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে সীমিত সংখ্যক ১৫০ জনের সাহায্যে। ওর স্বর্ণপদক মন্দিরে রাখা হবে। আরও বেশ কিছু ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করা হবে।"
যাইহোক, নীরজ স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনের পরেই টুইট করেন, "ঐতিহাসিক লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনে উপস্থিত থাকা আমার কাছে সম্মানের বিষয়। একজন ক্রীড়াবিদ এবং সেনাবাহিনীর সদস্য হিসাবে তেরঙা উড়তে দেখলেই হৃদয় আবেগে পরিপূর্ণ হয়ে আসে। জয় হিন্দ।"