ধীরে ধীরে চিনা স্পনসরদের আইপিএল থেকে ছেঁটে ফেলা হোক। এমনটাই আইপিএল কর্তৃপক্ষকে এবার পরামর্শ দিলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের অন্যতম অংশীদার নেস ওয়াদিয়া। গালোয়ান উপত্যকায় ইন্দো-চিন দ্বৈরথের পরে দাবি উঠে গিয়েছিল, আইপিএল সহ ভারতীয় ক্রিকেটে সরিয়ে দেওয়া হোক চিনের স্পনসর-সংস্থাগুলোকে। এরপর বিসিসিআই-ও জানিয়ে দেয়, সমস্ত স্পনসরদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে।
সোমবারই আবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ৫৯টি চিনা এপস বাতিল করা হয়েছে। তারপরেই এদিন নেস ওয়াদিয়া সাফ জানিয়ে দিলেন, "আমাদেরও উচিত চিনা স্পনসরদের সঙ্গে সমস্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা। দেশের জন্য। সবার আগে দেশ। অর্থ গৌণ। এবং আমাদের বুঝতে হবে এটা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, চায়না প্রিমিয়ার লিগ নয়। দেশের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত আমাদের।"
প্রশ্ন ওঠে গিয়েছে, চিনা স্পনসরদের বয়কটের পথে হাঁটলে আইপিএলে আর্থিক অসুবিধার পরিস্থিতি তৈরি হবে কিনা। সেই বিষয়ে নেস ওয়াদিয়া জানাচ্ছেন, "প্রাথমিকভাবে হয়ত স্পনসর খোঁজা সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে। তবে, দেশে পর্যাপ্ত স্পনসর রয়েছে যারা এদের জায়গা নিতে পারে। আমাদের দেশ, কেন্দ্রীয় সরকার এবং দেশের জন্য যারা বলিদান দিয়েছে সেই সৈনিকদের প্রতি আমাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।"
বর্তমানে বিসিসিআইয়ের প্রধান স্পনসর চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা ভিভো। বার্ষিক ৪৪০ কোটি টাকার বিনিময়ে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে তারা ২০২২ পর্য্যন্ত চুক্তিবদ্ধ। এছাড়াও আইপিএলের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য চিনা স্পনসর সংস্থাগুলো হল- পেটিএম, সুইগি, ড্রিম ইলেভেন। বিসিসিআই ছাড়াও একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি পরিবারেও চিনা স্পনসর জড়িত রয়েছে।
নেস ওয়াদিয়া নিজের বক্তব্য স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়ার পরে চেন্নাই সুপার কিংসের তরফেও জানানো হল, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলতে তাদের কোনো অসুবিধা নেই। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সিএসকে-র এক কর্তা জানিয়েছেন, "প্রাথমিকভাবে এই সংস্থার বদলে অন্যান্য স্পনসর খোঁজা বেশ কঠিন। তবে সবার আগে দেশ। আমাদের এটা করা উচিত।" অন্য এক ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক জানালেন, "সরকার আগে এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করুক। ওরা যাই সিদ্ধান্ত নিক, আমরা মেনে নেব।"
নেস ওয়াদিয়া যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা জারি করার অপেক্ষায় বসে থাকার পক্ষপাতী নন। তাঁর বক্তব্য, "এই মুহূর্তে দেশের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক কর্তব্য। আমি যদি বোর্ড সভাপতি হতাম, তাহলে বলতাম, সামনের মরশুমের জন্য কেউ ইন্ডিয়ান স্পনসর খুঁজে দাও। আইপিএলের মত বিশ্বের সেরা টি২০ লিগ থেকে চিনা স্পনসররা যা সুবিধা পেয়েছে তা ভারতীয় কোম্পানিগুলোরও পাওয়া উচিত। আইপিএলের টিম গুলোকে আপাতত ইন্ডিয়ান স্পনসর খোঁজার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হোক। আগেও বলেছি, দেশেই অনেক স্পনসর রয়েছে যারা চিনা স্পন্সরদের জায়গা নিতে পারে।"