বিদেশিদের বাদ দিয়ে আইপিএল হওয়াই সম্ভব নয়। এমনটাই মনে করছেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের সহ অংশীদার নেস ওয়াদিয়া। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে রাখছেন, আইপিএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিন্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও এত তাড়াহুড়োর প্রয়োজন নেই।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এদিন নেস ওয়াদিয়া জানান, "ভারতীয়দের এই আইপিএল একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। বিশ্বের প্রথমসারির এই ইভেন্ট। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদেরই প্রয়োজন।"
এর পরে তিনি আরো জানিয়েছেন, "তবে দেখতে হবে কোন ক্রিকেটাররা ভারতে খেলতে আসার অনুমতি পায় নিষেধাজ্ঞার শর্ত মেনে। বিসিসিআইয়ের হাতে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি এতটাই পরিবর্তনশীল যে এই টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে কোনো রকম অনুমানও করা সম্ভব নয়।"
প্রীতি জিন্টার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ডের যুক্তি, "কী হবে যদি আগামীদিনেও করোনা কেস বাড়তেই থাকে। কী হবে তাহলে? এই মুহূর্তে করোনা ছাড়া অন্য কোনো কিছু চিন্তা করা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।"
অনেক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, জুলাই-অগাস্ট মাসে করোনা সংক্রমণের হার ভারতে সবথেকে বেশি হবে। নেস ওয়াদিয়া যদিও বলছেন, আগাম ভবিষ্যতবাণী মোটেই ঠিক কাজ হবে না। "এই মুহূর্তে আমাদের এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। এই সমস্যা আরো দু-এক মাস থাকতে হবে। হয়ত আরো বেশি। একবার সংক্রমনের মাত্রা কমে গেলে তখন পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে কখন, কোথায় আইপিএল আয়োজন করা যেতে পারে।" জানিয়েছেন কিংস মালিক।
নেস ওয়াদিয়া বুন্দেসলিগার উদাহরণ টেনে বলেছেন, "আমরা যে সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি এর পরে ভারতীয় সমর্থকরা আরো বেশি করে আইপিএল দেখতে চাইবেন। জার্মানিতে ফুটবল শুরু করে দেওয়া হয়েছে। ইপিএল ও খুব তাড়াতাড়ি চালু হবে। ঘটনা হলো ওদের দেশ পিক করার সময় পেরিয়ে এসেছে। আমরা এখনো পেরোয়নি। আমিও আইপিএল হওয়া নিয়ে আশাবাদী। তবে আপাতত সামনের দুমাস ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জারি রাখতে হবে।"
বিশ্বে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই ৫ মিলিয়নের বেশি লোক আক্রান্ত এই ভাইরাসের কবলে। প্রায় মৃত্যুর সংখ্যা কয়েক লাখ। ২৯ মার্চ থেকে আইপিএল শুরু হওয়ার কথা ছিল।
তবে এমন অবস্থায় আইপিএল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল লকডাউন ঘোষণা হওয়ার সঙ্গেই। তারপর অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে টুর্নামেন্ট। গোটা দেশেই এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এমন অবস্থায় চলতি মরশুমে আইপিএল বাতিল করার পক্ষে অনেকে। যদিও বোর্ডের অনেকে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেলে সেই স্লটে অক্টোবর-নভেম্বরে আইপিএল আয়োজনের পক্ষপাতী।
করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএল এই বছরে আয়োজন করাই আপাতত চ্যালেঞ্জ বোর্ডের কাছে।