গত আইপিএলেই গতিতে আগুন ঝরিয়েছিলেন। বিষ্ফোরক গতিতে নাস্তানাবুদ করেছিলেন একের পর এক তারকা ব্যাটসম্যানকে। ভারতীয় দলের উঠতি প্রতিভাদের তালিকায় শুরুতেই রাখা হচ্ছিল উমরানকে। ২২ উইকেট নিয়ে নজরকাড়া আইপিএল পারফরম্যান্সের পর ভারতীয় টি২০ স্কোয়াডের নিয়মিত সদস্য ভাবা হচ্ছিল জম্মু এক্সপ্রেসকে।
তবে বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার পরেই স্বপ্নভঙ্গ। উমরান মালিকের জায়গা হয়নি স্কোয়াডে। আইপিএলের পরেই আয়ারল্যান্ড সফরে রাখা হয়েছিল উঠতি তারকাকে। তিনটে টি২০'তেই খেলেছিলেন তিনি।
তবে তারপরে কার্যত ছেঁটে ফেলা হয়েছে তাঁকে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে উমরানের ১৫০ প্লাস গতি ভারতের প্লাস পয়েন্ট হতে পারত। তবে উমরানকে স্রেফ ওয়ার্ল্ড কাপের দল তো বটেই ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও রাখা হয়নি।
ভারতের বোলিং বিভাগে ফেরানো হয়েছে জসপ্রীত বুমরাকে। সেই সঙ্গে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে হর্শল প্যাটেলের। তরুণ পেসার হিসাবে আর্শদীপ সিংয়ের ওপর ভরসা রেখেছেন নির্বাচকরা। দীপক চাহার এবং মহম্মদ শামিকে রাখা হয়েছে স্ট্যান্ড বাই হিসাবে।
এশিয়া কাপের ব্যর্থতার পরে ভারতের বোলিং নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভুবনেশ্বর কুমারের দুরন্ত বোলিং বাদ দিলে গোটা টুর্নামেন্টেই নিজের অভিজ্ঞতার প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
গুরুত্বপূর্ণ পাকিস্তান ম্যাচে ভুবনেশ্বর কুমার একাই ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। এমন অবস্থায় উমরান মালিককে কেন স্কোয়াডে ব্রাত্য থাকতে হচ্ছে, তা নিয়ে প্ৰশ্ন উঠছেই।