পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে শাহিদ আফ্রিদির বল রিভার্স সুইপে মাঠের বাইরে পাঠিয়েছেন বহুবার। এবার সেই একই কায়দায় পাক বোলারের আচরণকে মাঠের বাইরে ফেলতে দ্বিধাবোধ করলেন না যুবরাজ সিং।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদির ফাউন্ডেশনের যে লড়াই তার প্রশংসা করেছিলেন যুবি। কিন্তু কয়েকদিন আগে কাশ্মীর ইস্যু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে করা আফ্রিদির মন্তব্যর বিরুদ্ধে এবার সোচ্চার হলেন যুবরাজ। শুধু তাই নয়, আফ্রিদিকে সমর্থন করা নয়ে নিজের আফসোসও প্রকাশ করলেন বিশ্বকাপজয়ী ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার।
Really disappointed by @SAfridiOfficial‘s comments on our Hon’b PM @narendramodi ji. As a responsible Indian who has played for the country, I will never accept such words. I made an appeal on your behest for the sake of humanity. But never again.
Jai Hind ????????
— yuvraj singh (@YUVSTRONG12) May 17, 2020
রবিবারই একটি টুইটে শাহিদ আফ্রিদিকে ট্যাগ করে যুবরাজ সিং বলেন, "দেশের হয়ে খেলা একজন দায়িত্ববান ভারতীয় হিসেবে আফ্রিদির মন্তব্যকে আমি কখনই মেনে নিতে পারব না। মানবতার স্বার্থে এই আগের ঘটনার প্রতি নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেছিলাম। কিন্তু আর কোনওদিনও নয়। জয় হিন্দ।" তবে শুধু যুবরাজই নয়, পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী প্রসঙ্গে শাহিদ আফ্রিদির মন্তব্যের বিরুদ্ধে সুর চড়ান আরেক পাঞ্জাবপুত্র হরভজন সিংও।
Post retirement normally cricketers become commentators coz of love for the game but Shahid Afridi has chosen to become spokesperson for Pak Hate Army which breeds terrorism-Cheer leaders of team terrorism & butchers of humanity have no right to question Prime Minister of India pic.twitter.com/4kLveyON1u
— Jaiveer Shergill (@JaiveerShergill) May 17, 2020
প্রসঙ্গত, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে খেলতে গিয়ে পাক স্পিন বোলার আফ্রিদি জানান যে তিনি এই শেষবারের মতো কাশ্মীরের দলের হয়ে পাকিস্তান সুপার লিগ খেলতে চান। এরপরই তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যও করেন। আফ্রিদির সেই বক্তব্যের একটি সংক্ষিপ্তাংশ ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়।
ভারতীয় 'দুসরা' স্পেশালিস্ট হরভজন সিং বলেন, "আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ও আমাদের বন্ধু। কিন্তু বন্ধুরা কখনই এমন ব্যবহার করতে পারে না। এটা খুবই অশোভনীয়। তাঁর উচিত নিজের সীমাটা বোঝা। কিন্তু সেটা না বুঝেই আমাদের দেশ এবং প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন ভুলভাল মন্তব্য করেছেন। আমিও প্রথমে করোনা ভাইরাসে ওর লড়াইকে সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু এই ঘটনার পর ওর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখার অর্থই হয় না। এটা ওর বোঝা উচিত কীভাবে সকলকে সম্মান দেওয়া উচিত।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন