আগে কখনও সুপার ওভারে খেলেননি। প্রথমবার নেমেই নায়ক রোহিত। দলকে রূদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন মুম্বইকর। তারপরে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে এসে রোহিত শর্মা বলে গেলেন, "এর আগে কখনও সুপার ওভারে ব্যাটিং করিনি। জানতাম না কী করতে চলেছি- প্রথম বল থেকে চালাব, নাকি সিঙ্গলস নিয়ে চেষ্টা করে দেখব কী করতে পারি!"
নিজে দ্বিধাগ্রস্থ থাকলেও রোহিতের ব্যাটিং অবশ্য ক্লিন হিট নিতে ভোলেনি। বিস্ফোরক সেই ইনিংসের পরে রোহিত আরও বলেছেন, "এদিন দারুণ পারফরম্যান্স মেলে ধরেছি আমরা। তবে যেভাবে আউট হয়েছিলাম, তাতে আমি হতাশ। আরও বেশিক্ষণ ব্যাট করতে চেয়েছিলাম। আমি জানতাম এদিন জিতলেই আমরা সিরিজ জিতে ফেলব। তাই দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের দুরন্ত ফর্ম দেখানোর দিল ছিল আজ।"
রোহিত শর্মার জোড়া ছক্কা। তা-ও শেষ দু-বলে। আর সেই জোড়া ছক্কাতে ভর করেই ভারত সুপার ওভারে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রথমে ব্যাট করে ভারত স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ১৭৯। নিউজিল্যান্ডও নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৭৯-এ থামে।
সুপার ওভারে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ড শুরুতে ব্যাট করে ১৮ তুলেছিল। আর রোহিত শর্মা একাই সাউদিকে জোড়া ছক্কা হাকিয়ে তুললেন ২০ রান।
সিরিজ জেতার ম্যাচে হ্যামিল্টনে খেলতে নেমেছিল ভারত। সেখানেই যে পরতে পরতে নাটকীয় উপাদান ছড়িয়ে থাকবে তা বোঝা যায়নি। শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে রোহিত বাদে কোনও ব্যাটসম্যানই আহামরি ব্যাটিং করতে পারেননি।
প্রথম দু-ম্যাচে রান পাননি। তাই নিউজিল্যান্ডের বোলিংকে খুন করার জন্য রোহিত বেছে নিয়েছিলেন হ্যামিল্টনের সেডান পার্ককেই। ছক্কায় ছক্কায় মাঠ মাতিয়ে দিলেন তিনি। গ্যালারিতে আছড়ে পড়ল একের পর এক ছক্কা। তা দেখে ভারতীয় দর্শকরাও খুশ!
প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৪০ বলে ৬৫ করে গিয়েছিলেন। হামিশ বেনেটের এক ওভারেই তুলেছিলেন ২৬ রান। আর সুপার ওভারে টিম সাউদিকে আছড়ে ফেললেন গ্যালারিতে। শেষ দু-বলে জোড়া ছক্কা হাকিয়ে ম্যাচের নায়ক তিনি। শেষ ওভারে ৪ বলে ১৫ করে যান হিটম্যান।
ম্যাচের ৬ নম্বর ওভারেই বোঝা গিয়েছিল আজ রোহিত বিস্ফোরক মেজাজে রয়েছেন। জাতীয় দলের জার্সিতে মাত্র তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামা হামিশ বেনেটের উপরে চড়াও হয়েছিলেন রোহিত। সেই ওভার থেকে রোহিত তুলেছিলেন ২৬ রান।
সুপার ওভার- সুপার ওভারে ভারত যে জিতবে তা অনেকেই আশা করেননি। জয়ের জন্য ১৯ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ৪ বলে রোহিত-লোকেশ তুলতে পেরেছিল মাত্র ৮ রান! শেষ ২ বলে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল ১১ রান। সেখান থেকে পরপর জোড়া ছক্কায় অনায়াসে জয় ভারতের।