Bangladesh vs Sri Lanka ODI series: বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসের তিক্ত সম্পর্কে নতুন অধ্যায় রচিত হল সোমবার। সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশের সিনিয়র তারকা মুশফিকুর রহিম ব্যঙ্গ করলেন স্বয়ং এঞ্জেলো ম্যাথিউসকে। বিশ্বকাপের সেই কুখ্যাত টাইম আউট বিতর্ক উঠে এল আবার।
২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জেতার পর বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটাররা যখন ট্রফি হাতে পোজ দিতে ব্যস্ত, সেই সময় মুশফিকুর রহিমকে দেখা যায় ম্যাথিউজের সেই টাইম আউট ঘটনার স্মরণ করে দিয়ে হেলমেট খুলে নকল করতে। নাগিন ড্যান্স সেলিব্রেশন নিয়ে এমনিতেই দুই দলের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ভালো নয়। এর মধ্যেই মুশফিকুরের এই ঘটনা বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করল।
আরও পড়ুন: বাদ পড়তে পারেন নারিনও! চমকের পর চমক এবারের KKR-এর প্ৰথম ১১-য়, কেমন হবে দল
টি২০ এবং ওয়ানডে সিরিজ সমাপ্ত হওয়ার পর দুই দল আবার মুখোমুখি হচ্ছে ২২ মার্চ থেকে শুরু হতে চলা টেস্ট সিরিজে। ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশ জিতলেও টি২০ সিরিজ দখলে রেখেছে শ্রীলঙ্কা।
গত ডিসেম্বরে দিল্লিতে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচে বিশ্বক্রিকেটের প্ৰথম ব্যাটার হিসাবে টাইম আউটের শিকার হন এঞ্জেলো ম্যাথিউস।
বহু আলোচিত সেই ক্রিকেট ম্যাচে ২৫তম ওভারে সমরাবিক্রমা আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন ম্যাথিউজ। জানা গিয়েছে, খারাপ হেলমেটের কারণে ব্যাট করতে দ্বিধা করছিলেন ম্যাথিউস। চোট লাগার আশঙ্কা ছিল তাঁর। নতুন করে হেলমেট আনার নির্দেশ দেন। সাজঘর থেকে নতুন হেলমেট আসার সময়ের ফায়দা নেন সাকিব। তিনি আউটের দাবি করে বসেন নিয়ম মেনে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে যা খেলার স্পিরিটের পরিপন্থী।
সেই বিতর্কিত ওভারে বল করছিলেন সাকিব নিজেই। আম্পায়ারের পাশাপাশি ম্যাথিউজ তাঁকেও বোঝানোর চেষ্টা করেন হেলমেটের স্ট্র্যাপ নিয়ে সমস্যা হচ্ছে তাঁর। তাই ক্রিজে নেমেও সময়মত ব্যাট ধরতে পারেননি। আম্পায়ার আউট ঘোষণা করার পর ম্যাথিউসকে দেখা যায় আম্পায়ারের সঙ্গে রীতিমতো তর্ক জুড়ে দিতে। তিনি সাকিব তো বটেই আম্পায়ারের কাছেও নিজের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছিলেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী নিরুপায় ছিলেন আম্পায়ারও।
ম্যাথিউসকে আউট ঘোষণা করার পর চাইলেই আউট প্রত্যাহার করতে পারতেন সাকিব। ম্যাথিউস সাকিবকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জিও জানান। কমেন্টেটর ইয়ান বিশপ জানিয়েছেন, সাকিবকে সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অন-ফিল্ড আম্পায়ার দু-বার অনুরোধ করেন। তবে বাংলাদেশি ক্যাপ্টেন কর্ণপাত করেননি। রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে মাঠ ছাড়তে হয় ম্যাথিউজকে।
সেই ঘটনার তিক্ত স্মৃতি যে এত সহজে মেটার নয়, তা মুশফিকুরের কাণ্ডে ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল।