বাংলাদেশ: ১৭২/১০ এবং ১৪৪/১০
নিউজিল্যান্ড: ১৮০/১০ এবং ১৩৯/৬
সিলেটে প্ৰথম টেস্ট জিতে মিরপুরে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েছিল টাইগাররা। তবে মিরপুর যা বাংলাদেশের দুর্গ বলে বিশ্বক্রিকেটে পরিচিত, সেই গ্রাউন্ডেই কিউইদের কাছে হেরে বসল বাংলাদেশ। চতুর্থদিনেই চার উইকেটে জয় হাসিল করে নিল কিউইরা। চার দিনের মধ্যে একদিন আবার বৃষ্টিতে খেলাই হয়নি। সবমিলিয়ে মাত্র তিনদিনের মধ্যেই গুঁড়িয়ে গেল বাংলাদেশের দুর্গ মিরপুর।
বনবন ঘূর্ণি পিচে প্ৰথম দিনেই ১৫ উইকেট পড়েছিল। টসে জিতে প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের প্ৰথম উইকেট গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৭২ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড প্ৰথম দিনেই ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারায়। তবে নিউজিল্যান্ডকে প্ৰথম ইনিংসে লিড এনে দিতে সাহায্য করেন গ্লেন ফিলিপস। ৮৭ রান করে কিউই ইনিংসের পরিত্রাতা হন তিনি। নিউজিল্যান্ড ৬ রানের লিড নিয়ে প্ৰথম ইনিংস শেষ করে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ফের একবার ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। আজাজ প্যাটেলের ৬ উইকেটে বাংলাদেশ ধসে যায় মাত্র ১৪৪ রানে। ওপেনার জাকির হাসানের হাফসেঞ্চুরি বাদে কোনও বাংলাদেশি ব্যাটার-ই খাপ খুলতে পারেনি। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান নাজমুল হোসেন শান্ত-র ১৫। এতেই স্পষ্ট বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অবস্থা।
দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল মাত্র ১৩৬ রান। সেই রান কিউইরা চার উইকেট হাতে নিয়ে তুলে দেয়। তবে অল্প রানের টার্গেটের সামনে নিউজিল্যান্ডের জয় মোটেও সহজে আসেনি। মেহেদি হাসান মিরাজ এবং তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণির সামনে কিউইরা একসময় ৬৯/৬ হয়ে গিয়েছিল। জয়ের জন্য তখনও দরকার ছিল ৬৭ রান। কঠিন পরিস্থিতিতে গ্লেন ফিলিপস (৪০) এবং মিচেল স্যান্টনারের (৩৫) ৭০ রানের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপে জয় ছিনিয়ে নেয় ব্ল্যাক ক্যাপস বাহিনী।
দুই ইনিংসেই কিউইদের ব্যাট হাতে নায়ক গ্লেন ফিলিপস। প্ৰথম ইনিংসে তিনটে শিকার-ও করেন তিনি। ব্যাটে-বলে অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্যই ফিলিপসকে ম্যাচের সেরা বাছা হয়।