মিরপুর টেস্টে জিতে মুখরক্ষা করেছে নিউজিল্যান্ড। সিলেটে প্ৰথম টেস্টে বিপর্যয়ের পর সিরিজ হারের আশঙ্কায় মিরপুরে খেলতে নেমেছিল কিউইরা। তবে টানটান ম্যাচে নিউজিল্যান্ড জিতে যায় হাতে চার উইকেট নিয়ে। মাত্র তিনদিনেই খতম হয়ে গিয়েছে ম্যাচ। চারদিন খেলা হলেও দ্বিতীয় দিন বৃষ্টির কারণে এক বল-ও খেলা গড়ায়নি।
দুই ইনিংসেই ফারাক গড়ে দিয়েছেন গ্লেন ফিলিপস। প্ৰথম ইনিংসে লিড এসেছিল ফিলিপসের ব্যাটে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভরাডুবির মাঝে দাঁড়িয়ে স্যান্টনারকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে দেন কিউই অলরাউন্ডার।
আর মিরপুরে মাত্র তিন দিনের মধ্যে সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার পর আলোচনায় উঠে এসেছে সেই কেন্দ্রের পিচ। এমনিতেই ক্রিকেট মহলে মিরপুরের পিচকে 'ধানক্ষেত' বলা হয়। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিততে মরিয়া হয়ে সেই পিচেই কারিকুরি ঘটানোর অভিযোগ উঠে গেল। বনবন ঘূর্ণি পিচে প্রথম দিনেই ১৫ উইকেটের পতন ঘটেছিল। দুই দলের স্পিনাররা গোটা টেস্টের ৩০ উইকেট শিকার করেছেন। এর মধ্যে কিউই স্পিনার আজাজ প্যাটেল দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন ৯ উইকেট। খেলা হয়েছে মাত্র ১৭০ ওভার। ম্যাচের ফয়সালা হয়ে গিয়েছে মাত্র ১০৬৯ বলে।
আর কোনওরকমে ম্যাচ জিতে উঠে বাংলাদেশের পিচ নিয়ে সমালোচনা করতে ছাড়লেন না কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। জানিয়ে দিয়েছেন, "এই উইকেট বহুভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। মাত্র ১৭০ ওভারেই ম্যাচ খতম হয়ে যাওয়াতেই পর্যাপ্ত প্রমাণ মিলেছে। পিচ মোটেই ভালো ছিল না। ব্যাট এবং বলের মধ্যে লড়াই মোটেই সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। গোটা কেরিয়ারে যত উইকেটে খেলেছি। তার মধ্যে এটাই সম্ভবত নিকৃষ্টতম পিচ। আবার-ও বলছি, ব্যাট-বলের লড়াইয়ে সুবিধা পেয়ে গেল বোলাররাই। এত কম ওভারে ম্যাচ খতম হয়ে যাওয়ায় তার-ই প্রতিফলন ঘটেছে। তবে তা সত্ত্বেও ছেলেরা যেভাবে জয় হাসিল করেছে, তা সত্যি প্রশংসনীয়।"
টিম সাউদি-ই নন শুধু, বাংলাদেশের স্পিন-স্ট্র্যাটেজিকে একহাত নিয়েছেন। কলঙ্কিত ম্যাচের পর হর্ষ ভোগলে বাংলাদেশকে সমালোচনায় ডুবিয়ে বলেছেন, "কখনও কখনও মাকড়শা নিজেদের জালেই জড়িয়ে যায়।"
স্পিন খোঁয়ার বানিয়েও বাজিমাত করতে পারল না বাংলাদেশ। বুমেরাং হয়ে গিয়েছে যাবতীয় কৌশল। ভবিষ্যতে এই কৌশলেই আঁকড়ে ধরবে বাংলাদেশ, সেটা দেখা যাক।