নেইমার এবার ব্রাজিলেই চরম সমালোচনার মুখে পড়লেন। দেশে থাকলেও পেলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় হাজির ছিলেন না ব্রাজিলীয় সুপারস্টার। পেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে একের পর এক ব্রাজিলীয় ফুটবলার হাজির থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন বর্তমান ব্রাজিল ফুটবলের পোস্টার-বয়। এতেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লেন নেইমার।
দাতেনা বলেছেন, "নেইমার চাইলেই পেলের অন্ত্যেষ্টিতে আসতে পারতেন। চাইলে পিএসজির ওপর চাপ দিতে পারতেন। পার্টিতে আসার জন্য তো ক্লাবের কাছে ছুটি নিতে বারবার চাপ দেয়। পেলেকে শেষবারের মত বিদায় জানানোর কথা কেন জানাল না ও পিএসজিকে? ব্রাজিলীয় হিসেবে নেইমারের উচিত ছিল পেলের কফিনের সামনে হাজির থাকা। ব্রাজিল ফুটবলের এটা তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হতে পারত।"
এই আগে গত শুক্রবার পেলের প্রয়াণের পর রাতেই সেলেকাও সুপারস্টার ইনস্টাগ্রামে লিখে দিয়েছিলেন, “পেলের আগমনের আগে ১০ নিছকই একটা সংখ্যা ছিল। জীবনের কোনও একটা পর্বে এরকম একটা প্রবাদ শুনেছিলাম। এই প্রবাদ শুধু সুন্দরই নয়, অপরিপূর্ণও বটে। আমি তো বলব, পেলে আসার আগে ফুটবল নিছক একটা খেলা ছিল। উনি খেলাকে শিল্পে, বিনোদনে পরিণত করেছিলেন। পেলে খেলাটাকেই বদলে দিয়েছিলেন। উনি দরিদ্রদের বিশেষ করে কালোদের মুখে ভাষা জুগিয়েছিলেন। বিশ্বের দরবারে ব্রাজিলকে তুলে ধরেছিলেন। ধন্যবাদ কিং। উনি চলে গেলেন তবে ম্যাজিক চিরকালীন থাকবে। পেলে অবিনশ্বর।”
পেলে যেখানে খেলে বড় হয়ে উঠেছেন, ব্রাজিলকে বিশ্ব ফুটবলের মক্কায় পরিণত করেছিলেন, সেখানেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয় মঙ্গলবার। স্যান্তোসের রাস্তা দিয়ে পেলের মরদেহ নিকটবর্তী সমাধিস্থলে নিয়ে যাওয়ার আগে ভিলা বালমেইরো স্টেডিয়ামে ক্যাথলিক রীতিতে তাঁকে শেষ সম্মান জানানো হবে। সদ্যই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নিবাচিত হয়েছেন লুলা দ্য সিলভা। তিনিও ভিলা বালমেইরো স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন কিংবদন্তিকে শেষ সম্মান জানানোর জন্য। গত বৃহস্পতিবার পেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ৮২ বছর বয়সে ক্যান্সারে প্রয়াত হন তিনি।