ফ্রেঞ্চ কাপের প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে আগের ম্যাচেই হেরে বসেছিল। বুধবার মার্সেইয়ির কাছে হারতে হয়েছিল পিএসজি। এবার লিগা ওয়ানে ফিরেও হার হজম করল পিএসজি। মোনাকোর কাছে ১-৩ গোলে বিধ্বস্ত হল প্যারিসের ক্লাবটি। চোটের জন্য লিওনেল মেসি এবং কিলিয়ান এমবাপে দুজনেই অনুপস্থিত ছিলেন। দলকে বাঁচানোর দায়িত্বে ছিলেন নেইমার। আক্রমণে নেইমারের সঙ্গে ছিলেন হুগো একতিকে। তবে নেইমার একা দলের হার রুখতে পারেননি।
গত অগাস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পিএসজি অপ্রতিরোধ্য ছিলেন। তবে বিশ্বকাপের পর থেকেই চরম দুঃসময় চলছে। একের পর এক সুপারস্টারও দলের হার বাঁচাতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: মেসি-রোনাল্ডো-এমবাপে-নেইমার-হালান্ড! ভয়ঙ্কর বিপদ মিলিয়ে দিল সকলকেই, টুপি খুলল গোটা দুনিয়া
মোনাকোর হয়ে প্ৰথম ২০ মিনিটেই জোড়া গোল করে যান উইসাম বেন ইয়াদ্দির। ম্যাচের ৪টি গোলই হয় বিরতির আগে। চার মিনিটে ইয়াদ্দিরের শট ব্লকড হয়ে যায়। রিবাউন্ড থেকে আলেকজান্ডার গোলোভিন মোনাকোর হয়ে প্রথম গোল করে যান।
মোনাকোর হাইপ্রেসিং ফুটবলে নাস্তানাবুদ হয়ে ১৮ মিনিটেই দ্বিতীয় গোল হজম করে বসে পিএসজি। পিএসজির বিস্তাবুকে মাটি ধরিয়ে ক্রেপলিন দিয়াত্তা বল বাড়িয়েছিলেন ইয়াদ্দিরকে। কোনাকুনি শটে দ্বিতীয় গোল করে যান তিনি।
আরও পড়ুন: নোংরা অঙ্গভঙ্গি করতে বারণ-ই করেন মেসি! বিশ্বকাপ ফাইনালের কুকীর্তি নিয়ে স্বীকারোক্তি মার্টিনেজের
৩৯ মিনিটে হুয়ান বার্নেটের লো ক্রস ধরে ট্যাপ করে পিএসজির হয়ে ব্যবধান কমিয়ে যান টিনএজ তারকা ওয়ারেন জাইরে এমেরি। প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে ইয়াদ্দির নিজের দ্বিতীয় গোল করে পিএসজির কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে যান।
৪৮ ঘন্টা পরেই পিএসজি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় মুখোমুখি হচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে কী হবে, ভেবে এখন থেকেই শঙ্কিত পিএসজি সমর্থকরা। পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফ গ্যালতিয়ের হতাশ হয়ে বলে দিয়েছেন, "বিশ্বকাপের পর আমরা প্রচুর গোল হজম করছি। রক্ষণাত্মকভাবে আমাদের ভারসাম্য খুঁজে বের করতে হবে।"
Read the full article in ENGLISH