গোটা ভারত তাকিয়ে ছিল এই ম্যাচ ঘিরে। বিস্তর লেখালেখি চলছিল মিডিয়ায়। তবে সেই ম্যাচের আগেই ছন্দপতন। ভারতে আসা হচ্ছে না নেইমারের। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সূচি অনুযায়ী, ৬ নভেম্বরে মুম্বই সিটি এফসির বিপক্ষে নামবে আল হিলাল। ভাবা হচ্ছিল আল হিলালের জার্সিতে হয়ত ভারতের মাটিতে খেলবে মুম্বই সিটি।
সেই আশায় দিন গোনা চলছিল ভারতীয় ফুটবল মহলের। তবে নেইমার আসছেন না ভারতে। ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফায়ারে মঙ্গলবার রাতে উরুগুয়ের কাছে হেরে গিয়েছে ব্রাজিল। তার থেকেও বড় দুঃসংবাদ নেইমার এসিএল ছিঁড়ে বসেছেন। ব্রাজিলের হেরে যাওয়ার ম্যাচে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। ক্লাব আল হিলালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্তত তিন মাস মাঠের বাইরে কাটাতে হবে তারকাকে। সেই কারণেই ভারতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে আসতে পারবেন না সুপারস্টার।
নেইমারের আগমন ঘিরে অভূতপূর্ব উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল ভারতীয় ফুটবল মহলে। এএফসির তরফে লাইসেন্সিং সমস্যা থাকায় প্ৰথমে পুনের বালেওয়ারি স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করার ঘোষণা করেছিল মুম্বই সিটি। তবে মাত্র ১২ হাজার দর্শক খেলা দেখতে পারত পুনেতে।
শেষমেশ অবস্থা বিবেচনা করে মুম্বই সিটি এফসির তরফে নভি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে অপেক্ষাকৃত বড় মাঠে ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই টিকিটের জন্য হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে সেই আশায় জল ঢেলে গেল ওয়ার্ল্ড কাপের কোয়ালিফায়ার ম্যাচ।
প্রথমার্ধের শেষের দিকে নেইমার চোটের কবলে পড়েন। দৌড়নোর সময় উরুগুয়ান ডিফেন্ডাররা টিপ করেন তারকাকে। তারপরেই দুই দলের ফুটবলাররা মাটিতে শায়িত নেইমারকে কেন্দ্র করে দাঁড়িয়ে যায়। বাঁ পায়ের হাঁটু ধরে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
সঙ্গেসঙ্গেই চিকিৎসকরা নেইমারের পরিচর্যা শুরু করে দেন। এবং শেষে স্ট্রেচারে করে নেইমারকে বের করে আনা হয়। মাঠ থেকে বের করে আনার সময় নেইমার দৃশ্যতই হতাশ এবং যন্ত্রণাবিদ্ধ হয়ে মুখ ঢেকে ফেলেন হাত দিয়ে।
এরপরে মন্তেভিডিওয় সাংবাদিকদের সঙ্গেও কোনওরকম কথা বলেননি তিনি। যদিও ইনস্টাগ্রামে ঈশ্বরের প্রতি ভক্তির বার্তা দিয়ে লিখেছেন, "সমস্ত কিছুর বিষয়ে ঈশ্বর অবহিত। যাই হোক না কেন, আমার ঈশ্বরে বিশ্বাস পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যমান।"
দেশের জার্সিতে একদমই জ্বলে উঠতে পারছেন না সুপারস্টার। ব্রাজিল আগের ম্যাচেও ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিল। ম্যাচে নেইমারের পারফরম্যান্স তীব্র সমালোচিত হয়।