Nitish Kumar Reddy Maiden Test Century against Australia: বক্সিং ডে টেস্টে মিচেল স্টার্ককে দুর্ধর্ষ কভার ড্রাইভ হাঁকিয়ে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছলেন। তারপরেই তার অন্তরের তেলুগু প্রীতি বেরিয়ে এল। মেলবোর্ন মাতিয়ে দেওয়া নীতিশ রেড্ডি কঠিন সময়ে হাফসেঞ্চুরি করেই আল্লু অর্জুনের বিখ্যাত 'পুষ্পা' স্টাইলে চিবুকের নিচে হাত নেওয়ার ভঙ্গিতে ব্যাট বুলিয়ে দিলেন।
সাত উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে ভারতের ফলো অন বাঁচানোর দায়িত্ব ছিল শেষ স্বীকৃত জুটি ওয়াশিংটন সুন্দর এবং নীতিশ রেড্ডির ওপর। দুজনে তারপর ঐতিহাসিক পার্টনারশিপ গড়ে গেলেন। বাঁচিয়ে দিলেন দলের ফলো অন। ৮১ বলে কেরিয়ারের প্ৰথম টেস্ট হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। গোটা সিরিজ ধরেই লোয়ার অর্ডারে নীতিশ রেড্ডি অনবদ্য ধারাবাহিকতা প্রদর্শন করে চলেছেন।
পারথে দুই ইনিংসে ৪১ এবং ৩৮ করার পর এডিলেডে দুই ইনিংসেই ৪২ করেন। ব্রিসবেনে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। মাত্র ১৭ করে ফিরতে হয়েছিল একমাত্র ইনিংসে। সেই ব্যর্থতার জ্বালাই যেন সুদে আসলে মিটিয়ে নিলেন নীতিশ রেড্ডি। হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর টেনশনের আবহ তৈরি করে দিনের খেলা ফুরোনোর আগেই কেরিয়ারের প্ৰথম টেস্ট শতরান পূরণ করে ফেলেন।
রেড্ডি যখন ব্যাট করতে এসেছিলেন, তখন ভারতের স্কোর ছিল ১৯১ রানে ৬ উইকেট। এরপরে ওয়াশিংটন সুন্দর-এর সঙ্গে ১২৭ রানের সেরার সেরা পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তিনি। যে জুটি আবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের পক্ষে অষ্টম উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের নজির গড়ে গেল।
এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে ভারত ফলো-অন তো এড়ালই, সেই সঙ্গে ম্যাচেও প্রবলভাবে ফিরে এল। রেড্ডি তার সেঞ্চুরির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় ২১ বছর ২১৬ দিনে সেঞ্চুরি করা তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেললেন। একমাত্র শচীন তেন্ডুলকর এবং ঋষভ পন্থ তার চেয়ে কম বয়সে অস্ট্রেলিয়ায় সেঞ্চুরি করেছেন।
এছাড়াও, তিনি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অষ্টম বা তার নিচে ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরি করা প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান। এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে রেড্ডি ভারতের হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় অষ্টম বা তার নিচে ব্যাট করতে নেমে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড গড়েছেন, যে রেকর্ড আগে অনিল কুম্বলের (৮৭ রান) দখলে ছিল।
ভারত গতকাল পাঁচ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই গিয়েছিল। তবে তৃতীয় দিন যে এভাবে ওয়াশিংটন সুন্দর-নীতিশ রেড্ডি জুটির সামনে কালঘাম বেরিয়ে যাবে স্টার্কদের, ভাবা যায়নি।