লা লিগায় বছরের পর বছর খেলেছেন তাঁরা প্রতিপক্ষ হিসাবে। বার্সেলোনা, রিয়েল মাদ্রিদের যুদ্ধ মানেই একে অন্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াই। সের্জিও রামোসের ওপরেই এল ক্ল্যাসিকোয় দায়িত্ব থাকত মেসিকে আটকানোর।
এখন সেসব অতীত। লা লিগা ছেড়ে লিগা ওয়ানে পিএসজির সংসারে দুজনে এখন সতীর্থ। স্পেনের শত্রুতা ভুলে রামোস এখন লিওনেল মেসির 'বন্ধু'। রিয়েলে খেলার সময় সতীর্থ হিসাবে যেমন পেয়েছেন বেল, ক্রুস, লুকা মদ্রিচদের, তেমন প্রতিপক্ষ হিসাবে খেলেছেন গ্রিজম্যান, পিকে, মেসিদের বিরুদ্ধে। তবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে রামোসের ব্রোম্যান্স এখনও আলোচনার বিষয়।
সতীর্থ হিসাবে পাশে যেমন পেয়েছেন রোনাল্ডোকে, তেমন বর্তমানে লিওনেল মেসির সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে ক্লাব ফুটবলে জার্সি গায়ে চাপাচ্ছেন। সর্বকালের সেরা দুই ফুটবলারের মধ্যে তুলনায় রামোস এবার এগিয়ে রাখছেন পিএসজি সতীর্থকেই। পিএসজি টিভি-কে স্পেনের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সেন্টার ব্যাক জানাচ্ছেন, "মেসির বিরুদ্ধে বছরের পর বছর খেলে অনেক ভুগতে হয়েছে। এখন ওঁর সঙ্গে খেলা উপভোগ করছি। বিশ্বফুটবল যত তারকার জন্ম দিয়েছে তাঁদের মধ্যে মেসিই সেরা। এ নিয়ে সন্দেহ নেই।"
ঘটনা হল, রোনাল্ডোর সঙ্গে শীঘ্রই আল নাসেরে খেলতে দেখা যেতে পারে রামোসকে। পুরোনো সম্পর্ক ফের ঝালিয়ে নিতে পারেন তিনি সৌদি আরবে। চলতি সিজন শেষেই পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে রামোসের। রামোসের সঙ্গে কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে রোনাল্ডোর সৌদি ক্লাবের। আসলে আল নাসের টার্গেট করেছিল লুকা মদ্রিচকে। তবে ক্রোয়েশিয়ান সুপারস্টার পত্রপাঠ আল নাসেরের প্রস্তাব খারিজ করে জানিয়েছেন, তিনি আরও এক মরশুম স্পেনেই খেলতে চান। তারপরেই রামোসকে পেতে ঝাঁপিয়েছে আল নাসের।
ঘটনা হল, আল নাসেরে সম্ভাব্য আগমনের আগেই মেসিকে শ্রেষ্ঠত্বের সিংহাসন দিয়ে দিলেন রামোস। এতে পুরোনো বন্ধুর ওপর ক্ষুব্ধ হতেই পারেন সিআরসেভেন। সেই সঙ্গে রামোসের মন্তব্যে অসন্তুষ্ট হতে পারেন কিলিয়ান এমবাপেও। এমনিতে এমবাপের সঙ্গে রামোসের সম্পর্ক ভালোই। তবে বর্তমান ফরাসি ফুটবলের পোস্টার বয়কে নিয়ে কোনওরকম প্রশংসা করা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন রামোস।
সবমিলিয়ে রামোসের মেসি-বন্দনায় রেগে কাঁই হতে পারেন রোনাল্ডো-এমবাপে দুজনেই!