Advertisment

শেওয়াগ নয়, টেস্ট ক্রিকেট বদলেছিলেন আফ্রিদি, বলছেন আক্রম

ক্রিকেট মহলে বলা হয় শেওয়াগ টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনিংয়ের সংজ্ঞাটাই বদলে দিয়েছিলেন।বর্তমানে শেওয়াগের মতোই ব্যাটিং করেন ডেভিড ওয়ার্নার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL
টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনিং! এমন আলোচনায় অবধারিত ভাবে উঠে আসে বীরেন্দ্র সেওয়াগের নাম। ক্রিকেট মহলে বলা হয় শেওয়াগ টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনিংয়ের সংজ্ঞাটাই বদলে দিয়েছিলেন। টেস্টেও ওয়ানডের মতো ব্যাটিং করার জন্য দিকপাল হিসাবে মানা হয় নজফগরের নবাবকে। বর্তমানে শেওয়াগের মতোই ব্যাটিং করেন ডেভিড ওয়ার্নার। অস্ট্রেলীয় তারকা একাধিকবার বলেছেন, তাঁর ব্যাটিংয়ে শেওয়াগের প্রভাবের কথা।
Advertisment
তবে টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনিংয়ের ট্রেন্ড বদলানোর জন্য শেওয়াগ নন, ওয়াসিম আক্রম বাছছেন শাহিদ আফ্রিদিকে।
ইউটিউবের এক চ্যাট শো এ আফ্রিদিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে আক্রম বলেছেন, টেস্টের ওপেনিং ব্যাটিংয়ে ব্যাটসম্যানদের মানসিকতা বদলে দিয়েছিল আফ্রিদি।
আক্রম সেই শোয়ে জানিয়েছেন, "শেওয়াগ টেস্টে পরে এসেছিল। তবে ১৯৯৯-২০০০ সালে শাহিদ আফ্রিদি টেস্টে ওপেনিং ব্যাটিংয়ের ধাঁচ বদলে ফেলেছিল। আমি বোলার হয়ে বুঝতে পারতাম আফ্রিদিকে আউট করা যাবে তবে ও আমার বলে বাউন্ডারিও হাঁকাবে। লুজ বলে ইচ্ছা মত বাউন্ডারি মারার ক্ষমতা ছিল ওর।"
১৯৯৮ সালে টেস্টে অভিষেক হয় আফ্রিদির। তবে ১৯৯৯-২০০০ মরশুমে ভারত সফরে আফ্রিদিকে ওপেনার করা হয়। আক্রম জানান সেই সফরে আফ্রিদির থাকার কথা ছিলো না। তবে নির্বাচকদের মত উপেক্ষা করে নিজের ও ইমরান খানের সাহসে ভর করে আফ্রিদিকে দলে নিয়েছিলেন আক্রম।
বিখ্যাত পেসার বলেছেন, "আমি নির্বাচনের আগে ইমরান খানকে ফোন করে জানাই ক্যাপ্টেন আমি আফ্রিদিকে নিতে চাই। তবে বেশ কিছু নির্বাচক আফ্রিদিকে চাইছে না। ইমরান জানান, তুমি অবশ্যই ওকে নাও। ওই আমাদের আমাদের টেস্ট ম্যাচ জেতাবে। আর ওকে ওপেনিংয়ে খেলিও।"
পাশাপাশি আক্রম জানিয়েছেন, "আমি প্রায়ই ইমরানের সঙ্গে আলোচনা করতাম। কখনো সিরিজের আগে, কখনো সিরিজের মাঝে। ওঁর পরামর্শ সবসময় কাজে এসেছে।"
আক্রমের বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়েই আফ্রিদি চেন্নাইতে ১৪১ করে ভারতকে হারিয়ে দলকে ১-০ লিড নিতে সাহায্য করেছিলেন। সেই ম্যাচের কথা স্মরণ করে আক্রম বলেন, "ওহ, কি দারুণ একটা ইনিংস ছিল। ক্রিজে স্টেপ আউট করে ও কুম্বলে, জোশিকে ছক্কা হাঁকাত।"
সেই সিরিজে পাকিস্তান ২-১ এ জয় পেয়েছিল। তবে আফ্রিদির টেস্ট কেরিয়ার দীর্ঘায়িত হয়নি। মাত্র ২৭ টেস্টেই খেলছেন আফ্রিদি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পাকিস্তানের জার্সিতে আফ্রিদি ৩৯৮ টি ওয়ানডে ও ৯৯ টি টিটোয়েন্টি খেলেছেন।
cricket
Advertisment