ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের দুর্গমতম শৃঙ্গ ধরা হত এই রেকর্ডকে। কোনও মনুষ্যের পক্ষে যে এই শৃঙ্গ দখল করা সম্ভব হবে, কেউ ভাবতেই পারেনি। তবে কোহলি করলেন। পেরিয়ে গেলেন শচীনের ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ড। আগেই মাস্টার ব্লাস্টারকে একদিনের ক্রিকেটের সেঞ্চুরি সংখ্যায় ছুঁয়ে ফেলেছিলেন কোহলি। এবার শচীনের শহরেই ক্রিকেট ঈশ্বরের একদিনের ক্রিকেটের সেঞ্চুরির মুকুট কেড়ে নিলেন বিরাট। শচীনের সামনেই।
এর আগে গ্রুপ পর্বে ওয়াংখেড়েতে শচীনকে সেঞ্চুরি সংখ্যায় ছুঁতে পারেননি মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন অঙ্কের রান থেকে মাত্র ১২ রান দূরে থেমে যেতে হয়েছিল কোহলিকে। শেষমেশ শচীনকে কোহলি ছুঁয়ে ফেলেছিলেন ইডেন গার্ডেন্সে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরূদ্ধে।
তারপর নকআউট যে কোহলির জন্য এমন রোমাঞ্চের ডালি নিয়ে হাজির হবে কে ভাবতে পেরেছিল। শচীনের সামনেই এল তাঁকে পেরিয়ে যাওয়ার সেই মাইলফলক। ৪২তম ওভারে লকি ফার্গুসনের চতুর্থ বলে দুই রান নিয়ে নিজের ৫০তম সেঞ্চুরি করে যান। হাওয়ায় মুষ্টিবদ্ধ হাত ছুড়ে দিয়ে শচীনকে সম্মান জানিয়েই নিজের ঐতিহাসিক সেঞ্চুরির সেলিব্রেশন করে যান। ১০৬ বলে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছন তিনি।
ক্রিজে যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন যথেষ্ট ভালো পজিশনে ভারত ছিল। উড়ন্ত সূচনা করে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। যথারীতি। ২৯ বলে ৪৭ রানের ঝড় তোলা ইনিংসের পর রোহিত ফিরে যান। রোহিত আউট হওয়ার পর গিয়ার বদলান শুভমান গিল। ৪১ বলে ফিফটি পূরণ করে যান তিনি। নিশ্চিত শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন। তবে মুম্বইয়ের কুখ্যাত ডিহাইড্রেশনের শিকার হন। পায়ে ক্র্যাম্প লাগায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। ৭৯ রানে ফিরতে হয় তাঁকে।
গিল রিটায়ার্ড হার্ট হলেও রান তোলার গতিতে ভাঁটা পারেনি। শ্রেয়স আইয়ার কিউই বোলারদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ খাড়া করেন। আক্রমণাত্মক ইনিংসে শ্রেয়সও কোহলির সঙ্গে ঝোড়ো পার্টনারশিপ গড়ে যান। তিনিও আপাতত হাফসেঞ্চুরি করে দলকে টানছেন।