আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। তারপরেই জাঁকজমকে শুরু হয়ে যাবে ওয়ার্ল্ড কাপের আসর। আর ওয়ার্ল্ড কাপে এবার নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে অজয় জাদেজাকে। গড়াপেটা কাণ্ডে জড়িয়ে নির্বাসিত হয়েছিলেন। তাঁকেই এবার মেন্টর করে আফগানিস্তান দল খেলতে নামছে বিশ্বকাপে।
১৯৯২ থেকে ২০০২ পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ১৫ টেস্ট এবং ১৯৬ ম্যাচ খেলেছেন জাদেজা। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে জাদেজার মোট রান সংখ্যা যথাক্রমে ৫৭৬ এবং ৫৩৫৯। টেস্টে ২৬.১৮ গড়ে ৪টে হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর ৯৬। ওয়ানডেতে তাঁর নামের পাশে ছয়টা সেঞ্চুরি, ৩০ টা হাফসেঞ্চুরি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১১ ম্যাচে ৮১০০ রান করেছেন। ২৯১ টি লিস্ট-এ ম্যাচেও জাদেজা ৮৩০০ রান করেছেন।
জাদেজা লোয়ার অর্ডারে দারুণ ব্যাটসম্যান হওয়ার পাশাপাশি দুর্ধর্ষ ফিল্ডারও ছিলেন। তবে কেরিয়ারের সবথেকে বিতর্কিত অধ্যায় গড়াপেটায় নাম জড়িয়ে পড়া। গড়াপেটা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তে অজয় জাদেজার নাম উঠে আসে তৎকালীন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের সঙ্গে। তারপরেই বিসিসিআইযের তরফে আজীবন নির্বাসনে পাঠানো হয় তারকা ক্রিকেটারকে। বোর্ডের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে জাদেজা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তবে তাঁর মামলায় কোনও আইনজীবী তাঁর হয়ে লড়তে চাননি। পরে সেই মামলা বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি যদিও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার অনুমতি পেয়েছিলেন।
১৯৯৭ সালে মনোজ প্রভাকর অভিযোগ করেন ১৯৯৪-এ শ্রীলঙ্কার মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারার জন্য এক ভারতীয় ক্রিকেটার তাঁকে ২৫ লক্ষ টাকার প্রলোভন দেন। ঠিক ৩ বছর পর আরও বিস্ফোরক দাবিতে প্রভাকর জানান, সেই ভারতীয় ক্রিকেটার আর কেউ নন, স্বয়ং ভারতীয় বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন কপিল দেব।
এরপরেই দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের বাড়িতে হানা দেয় আইটি আধিকারিকরা। সেই বছরেই গড়াপেটা কাণ্ডের মূল হোতা হিসাবে আজহারউদ্দিনের নাম উঠে আসে। বুকিদের সঙ্গে যোগসাজশ ছিল মনোজ প্রভাকর, অজয় শর্মা, অজয় জাদেজা এবং টিম ইন্ডিয়ার তৎকালীন সিইও আলি ইরানির। এমনটাই তদন্তে প্রমাণিত হয়।
যাইহোক, বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের রেকর্ড খুব একটা ভাল নয়। ২০১৫-য় অংশ নিয়ে আফগানরা একটি ম্যাচে জয় পেয়েছিল। তবে ২০১৯-এ রশিদ খানরা টানা নয়টি ম্যাচেই হেরেছিল। অক্টোবরের ৭ তারিখে আফগানিস্তান টুর্নামেন্টে প্ৰথম ম্যাচে খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট এসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে।
আফগানিস্তান স্কোয়াড: হাসমাতুল্লা শাহিদী (ক্যাপ্টেন), রহমনুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রশিদ খান, রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, নাজিবুল্লাহ জাদরান, ইকরাম আলিখিল, মুজিব উর রহমান, নূর আহমেদ, ফজলহক ফারুখি, আব্দুল রহমান, নভিন উল হক
রিজার্ভ প্লেয়ার: গুলাবদিন নাইব, শারাফুদ্দিন আশরাফ, ফরিদ আহমেদ মল্লিক