২৪ ঘন্টা আগেই হায়দরাবাদে পা রেখেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। বিশ্বকাপ খেলার জন্য দীর্ঘ ৭ বছর পর এদেশে পা পড়েছে পাক দলের। আর বসেই স্থানীয় সমর্থকদের উৎসাহের জোয়ারে ভেসে গিয়েছেন পাক তারকারা। বিমানবন্দর হোক বা হোটেল পাক ক্রিকেটারদের একঝলক দেখার জন্য উন্মাদনা তুঙ্গে উঠেছে। আর স্থানীয় ক্রিকেট প্রেমীদের উৎসাহ দেখে রীতিমতো আপ্লুত পাক দল। ক্রিকেটাররা নিজেদের সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলেও নিজেদের এই অভূতপূর্ব জনসমর্থন শেয়ার করেছেন।
আপাতত একসপ্তাহ পাক দল হায়দরাবাদে থাকবে। জোড়া প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। তারপর গ্রুপ পর্বে নেদারল্যান্ডস এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও খেলবেন বাবর আজমরা। হায়দরাবাদ পর্ব সাঙ্গ করে পাক দল পাড়ি জমাবে আহমেদাবাদে। যেখানে পাক দল টুর্নামেন্টের সেরা দ্বৈরথ ভারত বনাম পাকিস্তান যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।
সবমিলিয়ে এমন উৎসবের আবহেই হিন্দু-মুসলিম বিতর্ক টেনে আনলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার মুস্তাক আহমেদ। পাকিস্তানের সামা টিভিতে এক শো-য়ে পাক মুলুকের প্রাক্তন তারকা সপাটে বলে দেন, হায়দরাবাদ এবং আহমেদাবাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম হওয়ায় পাক দল এমন সমর্থন পাচ্ছে। "আহমেদাবাদ এবং হায়দরাবাদ- দুই জায়গাতেই মুসলিমরা বেশি। এই কারণেই বিমনাবন্দরে এমন সমর্থন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।"
ঘটনাচক্রে, এর আগেও পাক ক্রিকেট দলকে নিয়ে একই ধরণের সুর শোনা গিয়েছিল অন্য এক প্রাক্তন পেসার নাভেদ উল রানার কন্ঠে। রানা নাভেদ বলে দেন, "জনসমর্থনের কথা ধরলে হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদের মুসলিমরা আমাদের সমর্থন করবে। ভারতীয় মুসলিমরা আমাদের বরাবর সমর্থন করে। ওখানে দুটো সিরিজ খেলেছি আমি। আইসিএল (ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ) খেলতে গিয়েও দেখেছি কীভাবে ওখানকার মুসলিমরা আমাদের সাপোর্ট করে। আর হায়দরাবাদের তো কথাই নেই।"
এদিকে, পাক দল যতই উষ্ণ অভ্যর্থনা পাক। বাবর-শাহিন আফ্রিদিরা প্রিয় বিফ বিরিয়ানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হায়দরাবাদে পাকিস্তান ক্রিকেটারদের খাবার-দাবারও আলোচনায় উঠে এসেছে। প্রিয় বিফ বিরিয়ানি পাচ্ছেন না পাক তারকারা। পাক ক্রিকেটারদের জন্য কী কী খাবারের বন্দোবস্ত থাকছে? একাধিক প্রচারমাধ্যম সূত্রে বলা হয়েছে, ল্যাম্ব চপস, হায়দরাবাদি বিরিয়ানি, গ্রিলড ফিশ, ভেজিটেবল পোলাও, মাটন কারি। এছাড়াও পাক ক্রিকেটারদের জন্য বাসমতি রাইসেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ক্রিকেটাররা নাকি নিজেরাই এই খাবার খেতে চেয়েছেন। মোদ্দা কথা হল, পাক ক্রিকেটারদের মেন্যুতে গোমাংসের কোনও নাম-গন্ধ ছিল না।