ওয়ার্ল্ড কাপের সূচি এবং টিকিট ইস্যু আরও ভালভাবে সামলানো যেত। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তা একান্তই সূচি এবং টিকিট সংক্রান্ত। কোনও ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়। এমনটাই জানালেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আলোচনার পর পূর্ব ঘোষিত সূচিতে কমপক্ষে নয়টি ম্যাচে বদল ঘটানো হয়েছিল। এমনকি নবরাত্রির জন্য আহমেদাবাদে ওয়ার্ল্ড কাপে ভারত-পাক ম্যাচের মত মার্কি ইভেন্টও একদিন এগিয়ে আনতে হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মত প্ৰকাশে কার্পণ্য করেন না প্রসাদ। শনিবার বিস্ফোরক ভঙ্গিতে প্রসাদ টুইটারে লিখে দেন, "একটি সংস্থার কঠোর পরিশ্রম কেড়ে নেওয়ার জন্য একটি দুর্নীতিগ্রস্ত, অহংকারী লোকই যথেষ্ট। যে সংস্থা সাধারণত অ-দুর্নীতিগ্রস্ত হয় সেই সংস্থায় শুধুমাত্র ক্ষুদ্র স্তরে নয়, একটি বৃহৎ স্তরে পুরো নেতৃত্বের উপর দুর্নীতির স্ট্যাম্প পড়ে যায়।"
রবিবার সকালে প্রসাদ নিজের পুরোনো টুইট আপডেট করে লেখেন, "এক অ-দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থার কঠোর পরিশ্রম এবং খ্যাতি নষ্ট করার জন্য একজন দূর্ণীতিগ্রস্ত, অহংকারী লোকই যথেষ্ট। শুধুমাত্র ক্ষুদ্র স্তরে নয়, বৃহৎ ক্ষেত্রেও এই দুর্নীতির মাত্রা ছড়িয়ে যায়। যে কোনও ক্ষেত্রে এই বিষয় সত্যি- রাজনীতি হোক, খেলাধুলো হোক বা সাংবাদিকতা বা কর্পোরেট স্তরে।"
সরাসরি কারোর নাম না জানলেও প্রসাদের লক্ষ্যকে তা নিয়ে তুমুল জল্পনা চলতে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের অনেকেরই ব্যাখ্যা, 'দুর্নীতিগ্রস্ত' বলতে বোর্ডের বর্তমান সচিব জয় শাহ-র কথা বলতে চেয়েছেন তিনি। তবে সংবাদসংস্থাকে জাতীয় দলের প্রাক্তন পেসার জানিয়েছেন, "ব্যক্তিগতভাবে কাউকে নয়। এটাই আমার পর্যবেক্ষণ। আমাকে একশো শতাংশ ভুল বোঝা হচ্ছে। জীবনের সব ক্ষেত্রেও দুর্নীতি রয়েছে। বিমান পরিষেবা হোক বা ব্যাঙ্কিং ইন্ডাস্ট্রি এমনকি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।"
"অন্যান্য টুইটের মতই টিকিট নিয়েও টুইট করেছিলাম। সেটাই ভুল বোঝা হচ্ছে। বিসিসিআইয়ের ক্ষেত্রে আমার সমালোচনা ছিল টিকিট এবং সূচি নিয়ে।" বোর্ডের অনেকেই বিশ্বাস করেন, বোর্ডের প্রশাসনে যেহেতু তিনি যুক্ত নন, সেইজন্যই উষ্মা প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে এরকম যুক্তি উড়িয়ে দিচ্ছেন তারকা পেসার, "একদমই নয়। আমাকেও পদে থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে এখনও আমি প্রস্তুত নই।"
তাঁর বক্তব্য তিনি স্রেফ সংস্থার গঠনগত সমালোচনা করেছেন, "কোনও ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য বলিনি। যেভাবে টিকিট বণ্টন করা হচ্ছে, অনেকেই, দেশে বিদেশের সমর্থক, বন্ধুবান্ধবরা অসন্তোষ প্ৰকাশ করেছেন।" ১৯৯৬ এবং ১৯৯৯-এর বিশ্বকাপে পাক দলকে বধ করার অন্যতম নায়ক বলছেন, বিসিসিআইয়ের ভালো কাজকর্ম মোটেই তাঁর নজর এড়িয়ে যায়নি, "অনেক ক্ষেত্রেই বিসিসিআই প্রশংসনীয় কাজকর্ম করে চলেছে। যেমন পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেটারদের বেতনে সমতা আনার ক্ষেত্রে। তবে টিকিট বণ্টনের ইস্যু আরও ভালভাবে সামলানো যেত। এতে অনেক প্রকৃত ক্রিকেট অনুরাগীদের হৃদয় ভাঙত না।"
ভেঙ্কটেশ প্রসাদ একহাত নিয়েছেন স্বঘোষিত ফ্যাক্ট চেকার মহম্মদ জুবেইরকেও। বলে দিয়েছেন, "জুবেইর আমাকে মেসেজ করে। অপশব্দ প্রয়োগও করে। তবে রিপ্লাই করা জরুরি ছিল।" জুবেইর প্রসাদকে ভীতু বলেছিলেন।