অক্ষর প্যাটেলের চোটে শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপে জাতীয় দলের স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন। আর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপই কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ, বলে দিচ্ছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে কথোপকথনে ৩৭ বছরের স্পিন মায়েস্ত্র বলে দিয়েছেন, "অনেকদিন ধরেই বলে আসছি। এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে।"
২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের স্কোয়াডে ছিলেন। এমনকি অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৫-র ওয়ার্ল্ড কাপেও খেলেছেন। তবে ২০১৯-এ ভারতের হয়ে ওয়ার্ল্ড কাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি। এবার একদম শেষ মুহূর্তে শিকে ছিঁড়েছে তারকার।
এশিয়া কাপের পর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অশ্বিনকে ডেকে নেওয়া হয়েছিল। তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, হঠাৎ করেই অশ্বিন টিম ইন্ডিয়ার বিশ্বকাপ প্ল্যানিংয়ে ঢুকে পড়েছেন। এমনিতেই বিশ্বকাপের জন্য প্রাথমিকভাবে যে স্কোয়াড গড়া হয়েছিল সেখানে রাখা হয়েছিল কুলদীপ, অক্ষরকে। স্পিনার অলরাউন্ডার হিসাবে জায়গা পেয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। তবে ঘটনা হল, তিনজনই বাঁ হাতি। বোলিং বিভাগে বৈচিত্র্য আনার জন্য অশ্বিনকে নেওয়া হয়েছে।
রাজকোটে অজিদের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডে খেলার সময় ক্যাপ্টেন রোহিত জানিয়েছিলেন, "অশ্বিনের ক্লাস আলাদা। চাপ সামলানোর ক্ষমতা এবং অভিজ্ঞতা দুইই রয়েছে ওঁর। ও হয়ত একবছরের বেশি ওয়ানডে খেলেনি। তবে তাতেও ওঁর অভিজ্ঞতা এবং কীর্তি একটুকুও খাটো হয় না।" আর জাতীয় দলে শেষ মুহূর্তে সুযোগ পাওয়া অশ্বিন জানাচ্ছেন, "সত্যি কথা বলতে, আমি বিশ্বকাপ খেলব, এমনটা ভাবিনি। গত চার-পাঁচ বছরে আমার একটাই লক্ষ্য, খেলাকে উপভোগ করা। এই টুর্নামেন্টে সেটাই করতে চাই।"
"এই টুর্নামেন্টে চাপ সামলানো অন্যতম বিষয় হতে চলেছে সকলের কাছে। ভালভাবে খেলা উপভোগ করতে পারলেই টুর্নামেন্ট ভাল কাটবে, এমনটাই ধারণা আমার। আমার কাছে টুর্নামেন্ট উপভোগ করাটাই আসল বিষয়।"
চেন্নাইয়ে ভারত ওয়ার্ল্ড কাপের প্ৰথম ম্যাচ খেলতে নামবে। চিদাম্বরম স্টেডিয়াম বরাবর স্পিন সহায়ক। ঘরের মাঠে অশ্বিন নতুনভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে নামবেন।
ভারতের ওয়ার্ল্ড কাপ স্কোয়াড:
বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা (ক্যাপ্টেন), আর অশ্বিন, কেএল রাহুল, শুভমান গিল, শ্রেয়স আইয়ার, সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, শার্দূল ঠাকুর, মহম্মদ সিরাজ, মহম্মদ শামি, ঈশান কিষান, জসপ্রীত বুমরা, হার্দিক পান্ডিয়া (ভাইস ক্যাপ্টেন)