এবার দ্যুতি চাঁদের উদ্দেশ্যে তোপ দাগল ওড়িশা সরকার। আর্থিক অসহায়তার মধ্যে রয়েছেন, এমন দাবি করেছিলেন তিনি। তারকা স্প্রিন্টারের সেই দাবি নস্যাৎ করে এবার ওড়িশা সরকার জানিয়ে দিল, ২০১৫ সাল থেকে দ্যুতি চাঁদকে ৪.৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে পদকজয়ের জন্য ৩ কোটি টাকা ইনসেন্টিভ দেওয়া হয়। এই কয়েক বছরে আর্থিক সহায়তা ও ট্রেনিংয়ের জন্য আরো ৩০ লাখ পেয়েছিলেন তিনি। টোকিও অলিম্পিকের প্রস্তুতির জন্য দু দফায় আরো ৫০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন দ্যুতি।
রাজ্য সরকার এমন বিবৃতি দিয়ে জানানোর পরেই পাল্টা পিটিআইকে দ্যুতি জানান, "এশিয়ান গেমসে পদক জেতার জন্য পুরস্কারের অর্থ বাবদ ৪ কোটি পেয়েছিলাম। যেমনটা সিন্ধু সহ বাকি এথলিটরা ওদের রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পেয়েছিল। এটাকে আর্থিক সহায়তা বলা উচিত হবে না। প্রত্যেকেই হয়ত ভাববেন আমি অনেক অর্থ পেয়েছি।"
রাজ্য সরকারের তরফে দ্যুতিকে মাইনিং অফিসার পদেও নিয়োগ করা হয়েছে। বেতন বাবদ যেখান থেকে দ্যুতি ২৯ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। এমন ঘটনা রীতিমত বিবৃতি দিয়েই জানিয়েছে ওড়িশা সরকার। বলা হয়েছে, "ওড়িশা মাইনিং করপোরেশন অফিসে ৮৪,৬০৪ টাকার চাকরি করেন দ্যুতি। এই চাকরিতে প্রতিদিন অফিসে আসতে হয় না, যাতে উনি ট্রেনিংয়ে ফোকাস করতে পারেন।" দ্যুতি এরপরেও বলছেন, এটা তাঁর বেতন বাবদ প্রাপ্য অর্থ। এই অর্থ কীভাবে অনুশীলনের আর্থিক সাহায্য হতে পারে।
ওড়িশা সরকার বনাম দ্যুতি চাঁদ বিতর্কের সূত্রপাত চলতি সপ্তাহেই। প্রবল অর্থ কষ্টে ভুগছেন এমন দাবি করে দ্যুতি নিজের বিএমডব্লিউ বিক্রি করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন ফেসবুকে। “আমি আমার বিএমডব্লিউ গাড়ি বিক্রি করতে চাই। ইচ্ছুকরা মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করুন।” লিখেছিলেন তিনি।
করোনা সংক্রমণের কারণেই সমস্যায় পড়েছেন দ্যুতি চাঁদ। তিনি রেডিফ.কম-এ জানিয়েছেন, “অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েই এরকম পোস্ট করতে হয়েছে। এই বছরেই অলিম্পিক হলে, সবকিছু প্রস্তুতি নেওয়াই ছিল। তবে একবছর পিছিয়ে যাওয়ায় এখন নিজের খরচ চালাতেই হিমশিম খাচ্ছি।” তিনি আরও জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তার কাছে কোনো নগদ অর্থই নেই।
কেন এই পোস্ট মুছে ফেললেন, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। দ্যুতি বলেছেন, কমেন্ট সেকশনে বেশ কিছু অশালীন মন্তব্য জমা পড়ছিল। তাই ম্যানেজারের পরামর্শে পোস্ট ডিলিট করে দি-ই।
যাইহোক, দ্যুতি চাঁদের আর্থিক সমস্যা অনেকটাই লাঘব হতে চলেছে। সাংসদ অচ্যুৎ সামন্ত দ্যুতিকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারকা এথলিট আরো জানান, ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও তাঁকে সাহায্যের কথা বলেছেন।