শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে দু'বার অলিম্পিকে পদকজয়ী কুস্তিগীর সুশীল কুমার। রবিবার দিল্লি পুলিশের বিশেষ বাহিনী সুশীল সিংকে গ্রেফতার করেছে। প্রাক্তন জুনিয়র জাতীয় চ্যাম্পিয়ন কুস্তীগীর ২৩ বছরের সাগর ধনকড়কে খুনের অভিযোগ রয়েছে সুশীলের বিরুদ্ধে।
৪ মে দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়ামে কুস্তীগীরদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। যা পরে মারামারির রূপ নেয়। এতেই মৃত্যু হয় সাগর ধনকড় নামে ২৩ বছর বয়সী কুস্তীগীরের। অভিযোগ, সুশীলের মারেই প্রাণ গিয়েছে সাগরের। এরপর সুশীল সিংয়ের বিরুদ্ধে দিল্লির মডেল টাউন থানায় খুন, অপহরণ, খুনের ষড়যন্ত্রের ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। এই ঘটনার পরেই ফেরার হয়ে যান অলিম্পিকে দু'বারের পদকজয়ী কুস্তিগীর।
দিল্লির আদালত এই মামলায় সুশীলের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। ফলে ঘোর বিপাকে পড়েন প্রখ্যাত এই কুস্তীগীর। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে দিল্লি পুলিশ। এমনকী, ফেরার সুশীল কুমারের খোঁজ দিতে পারলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা করেন দিল্লি পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব।
তদন্তে উঠে আসে যে, গ্রেফতারি এড়াতে সুশীল কুমার দিল্লি, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানায় পালিয়ে বেড়েছেন। পুলিশের অনুমান করে, ৪ঠা মের ঘটনায় অভিযুক্তরা পুলিশের নজর এড়াতে একাধিক সিম ব্যবহার করছেন।
দিল্লি পুলিশের দাবি, 'সাগর ধনকড়ের মৃত্যুর খবর পেতেই ৫ই মে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়ি থেকে পালায় সুশীল সিং। প্রথমে শালিমারবাগে পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরে গাড়িতে উত্তরাখণ্ড চলে যান। সেখান থেকে আবার পালিয়ে যান মুজফরনদরে। যদিও পরে আবার দিল্লি ফিরে আসেন। মেরাট টোল প্লাজার সিসিটিভি দেখে পুলিশ জানতে পারে যে ৬ই মে দিল্লিতে আসেন সুশীল।' তদন্তে নেমে দিল্লির বাইরে থেকে এক ব্যক্তিকে আগেই গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। জেরায় ধৃত জানিয়েছিল, সুশীল ও তাঁর এক সঙ্গী অজয় কুমারকে সে ১০টি সিম জোগাড় করে দিয়েছিল। অজয় ছত্রশাল স্টেডিয়ামের শীরির শিক্ষার শিক্ষক।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পার্কিং নিয়ে বচসা জেরেই সুশীল ও সাগরের ঝামেলার সূত্রপাত। তবে তদন্তে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের কথাও উঠে এসেছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন