গোটা বিশ্ব করোনায় আক্রান্ত। ঘরবন্দি হয়েই জীবন কাটছে বিশ্ববাসীর। মারণ ভাইরাসের প্রকোপ কবে কমবে তা নিয়ে এখনও সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।
ঘরে থেকেই কিশোর ও বালকরা ভিডিও ও মোবাইল গেমসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছেন। মোবাইল ও ভিডিও গেমস আসক্তি শিশুদের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে। চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত মাত্রায় ভিডিও গেমস খেললে তা মস্তিষ্কের বিকাশের পথে অন্তরায়। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আর এর ফলেই শিশুদের মধ্যে স্ট্রেস, উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে শিশুমন। শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে শরীরে বাসা বাঁধছে স্থূলতা।
শিশুদের এমন পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই এবার এগিয়ে এলেন ক্যারাটে ডো এসোসিয়েশনের সভাপতি হানসি প্রেমজিৎ সিং। লকডাউনে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। যাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে শিশুরা।
জানা গিয়েছে, শুধু এই পশ্চিম বঙ্গতেই নয়, দেশের ১৪টি রাজ্যে তার কোচিংয়ের শাখা রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, অনেকেই তাঁর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজস্ব কোচিংয়ের ক্যাম্প খুলেছেন। তাঁর কোচিংয়ের মূল লক্ষই বল শারীরিক ফিটনেসের তুঙ্গে যেন থাকতে পারেন ছাত্ররা। আগেই তাঁর প্রশিক্ষণ সাড়া ফেলেছিল বিভিন্ন প্রান্তে। সেই জন্যই তিনি এবার লকডাউনে কোচিংয়ের ক্লাস চালু করলেন অনলাইনে। পাশাপাশি অনলাইনে কম্পিটিশনও আয়োজন করছেন তিনি। প্রেমজিৎবাবু বলছিলেন, উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ছাত্ররা শারীরিক ও মানসিকভাবে একদম ফিট থাকতে পারবেন এই কঠিন সময়ে।
প্রেমজিৎবাবু ক্যারাটে ডো এসোসিয়েশনের সঙ্গেই জাতীয় ক্যারাটে সংস্থার কোষাধ্যক্ষ। পাশাপাশি একজন প্রথিতযশা কোচ, রেফারিও তিনি। নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তাঁর বক্তব্য, শুধু ক্যারাটে বর্তমানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও শিখছে। শুধু শারীরিক বা মানসিক অবস্থার জন্যই নয়, বিপদের সময় আত্মরক্ষার অন্যতম উপায় ক্যারাটে। সেই সঙ্গে শিশুদের একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে ক্যারাটে। যা পক্ষে সহায়ক হয়।