/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/08/rizwan-anil-chaudhary.jpg)
Anil Chaudhary, Mohammad Rizwan: রিজওয়ানকে নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় আম্পায়ার অনিল চৌধুরি (টুইটার)
Mohammad Rizwan antics, Anil Chaudhary: পাকিস্তানের ক্রিকেটে বর্ণময় চরিত্র মহম্মদ রিজওয়ান। মাঠে নামলেই তিনি খবরের শিরোনাম হয়ে যান। কখনও দুরন্ত খেলার সুবাদেজ কখনও আবার নাটকীয় অঙ্গভঙ্গি করে। বিশ্বকাপে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের ভান করে অনবদ্য ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও দলের বিপদে ত্রাতা হয়েছেন তিনি। দুর্ধর্ষ ১৭১ রান করে দলের স্কোর বড়সড় জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন। তবে ভারতীয় আম্পায়ার অনিল চৌধুরি নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে খুব বেশি নম্বর দিতে রাজি নন পাকিস্তান সুপারস্টারকে। উইকেটকিপার হিসাবে ক্রমাগত আউটের আবেদন করে আম্পায়ারের ওপর চাপ তৈরির খেলা খেলেন। এটাই ভালভাবে নেননি অনিল চৌধুরি।
2sloggers পডকাস্টে অনিল চৌধুরি ক্ষোভ ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছেন, "ও প্রচুর আবেদন করে। এমনকি নিজের সহকর্মী আম্পায়ারদেরও ওঁর বিষয়ে সতর্ক করেছি। প্রত্যেক বলেই চিল্লায় ও। মনে হয়না ও ঠোঁটে লিপস্টিক লাগায়? পায়রার মত কেবল লাফাতে থাকে ও। ঘটনা হল আম্পায়াররা ভালভাবেই জানে, ভালো উইকেটকিপার কী করে! আম্পায়ার যদি ভালো হয় তাহলে ওঁর মত কিপাররা মোটেই সুবিধা করতে পারবে না।"
"I've officiated against Pakistan in the Asia Cup, Mohammad Rizwan keeps appealing every now and then. I told the other umpire also that he keeps appealing so keep a note. He keeps jumping like a pigeon."
- Anil Choudhary pic.twitter.com/luJbmTjnR4— Cricketopia (@CricketopiaCom) August 24, 2024
অনিল চৌধুরির আরও সংযোজন, "আরে এখন প্রযুক্তি এসে গিয়েছে। কেন নিজেই নিজের অসম্মান করো? উলটপালটা বেরিয়ে গেল তখন পাবলিকই মজা করতে শুরু করবে।"
যাইহোক, পাকিস্তান একসময় বিপদে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ টেস্টে। প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে ১৬/৩ হয়ে যায় দুই বাংলাদেশি পেসারের সৌজন্যে। তবে তারপর সায়ুম আয়ুব এবং সৌদ শাকিল পাকিস্তান ইনিংসের হাল ধরেন। আয়ুব আউট হওয়ার পর সৌদ শাকিলের সঙ্গে ম্যারাথন পার্টনারশিপ গড়ে যান রিজওয়ান। তিনি নিজে ১৭১ রানে অপরাজিত থাকেন। নিশ্চিত দ্বিশতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি। তবে দলীয় স্কোর যখন ৪৩৮/৬ সেই সময় আচমকা পাক ক্যাপ্টেন শান মাসুদ ইনিংসে ডিক্লেয়ার করে দেন। কামরান আকমল এবং রশিদ লতিফের পর তৃতীয় পাকিস্তানি কিপার ব্যাটার হিসাবে ১৫০ প্লাস স্কোর করলেন তিনি। পাক উইকেটকিপারদের মধ্যে টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের নিরিখে তিনি রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে।