Pakistan vs Bangladesh 1st Test, mushfiqur Rahim, Babar Azam: 'আনফিট বাবর আজমের চেয়ে আনফিট মুশফিকুর রহিম ভালো'- বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের হারের পর এই সুরেই সোচ্চার হল নেট দুনিয়া। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মুশফিকুর রহিম তাঁর ১১তম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ১৯১ রানে আউট হন মুশফিকুর। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান যিনি চারটি টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করার সুযোগ হাতছাড়া করলেন। তবে, আউট হলেও দলের জন্য প্রয়োজনীয় কাজটা ক্রিজেই সেরে গিয়েছেন মুশফিকুর। এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের সৌজন্যে পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে প্রথম টেস্ট ম্যাচে পর্যুদস্ত করল বাংলাদেশ।
২০০৩ সালে পেশোয়ারে জাভেদ ওমর করেছিলেন ১১৯ রান। যা, এর আগে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ছিল। তাকে ছাড়িয়ে যান মুশফিকুর। তবে, ১৫০ রানের মাথায় তিনি কোনওক্রমে বেঁচে যান। কারণ, সালমান আগার বলে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক বাবর আজম লেগ স্লিপে মুশফিকুরের ক্যাচ ফেলে দেন।
মুশফিক, ইতিমধ্যেই টেস্ট ক্রিকেটে একজন বাংলাদেশির সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরের মালিক। তিনি তাঁর দেশের হয়ে সর্বাধিক সংখ্যক ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডেরও অধিকারী। মহম্মদ আলির ডেলিভারিতে চতুর্থ দিনের শেষ দিকে তিনি আউট হয়েছেন। বলটি ডানহাতি মুশফিকের প্রত্যাশার চেয়ে কিছুটা বেশি বাউন্স করেছিল। যা তাঁর ব্যাটের একটি প্রান্তে লেগে পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক মহম্মদ রিজওয়ানের হাতে চলে যায়।
তাঁর এই দীর্ঘ ইনিংসে ২২টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন মুশফিক। মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে তাঁর ১৯৬ রানের জুটি টেস্ট ক্রিকেটে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। এর আগে ২০১০ সালে হ্যামিলটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ১৪৫ রানের রেকর্ডটিই ছিল এই বিচারে সর্বোচ্চ রান।
রাওয়ালপিন্ডির পিচ এমনিতে ব্যাটিং সহায়ক। বাংলাদেশের হয়ে লিটন দাস (৫৬) রানে আউট হন। কিন্তু, মুশফিক ব্যাটিং চালিয়ে যান। তিনি লিটনের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ১১৪ রান যোগ করেন। লিটনের আউট হওয়ার আগে, পাকিস্তান ভেবেছিল পেস বোলার মহম্মদ আলির হাতে মুশফিকুর লেগ-বিফোর হয়েছে। কিন্তু, রিপ্লেতে দেখার পর আম্পায়ার রিচার্ড কেটলবরোর সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যায়।
৫৯ রানে মুশফিক সেঞ্চুরি করেন। তার আগে খুররম শাহজাদ ও সাইম আইয়ুবের বলে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান। ৫ উইকেটে ৩১৬ রান করা বাংলাদেশ রবিবার শুরু করেছিল বেশ মেজাজেই। কিন্তু, এরপর দিনের নবম ওভারে তারা লিটন দাসকে হারায়। নাসিম শাহের শর্ট ডেলিভারি লিটনের ব্যাটের প্রান্তে লেগে উইকেটরক্ষক মহম্মদ রিজওয়ানের হাতে চলে যায়।
আরও পড়ুন- সৌরভ নন, ভারতের জোড়া বিশ্বকাপজয়ী সুপারস্টারকে কোচিংয়ের প্রস্তাব দিল্লির! IPL-এ ঝড় তোলা আপডেট
লিটন ৮টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কা মেরেছেন। পাকিস্তানের কোনও বোলারই তাঁর হাত থেকে রেহাই পায়নি। পাকিস্তানের পক্ষে বোলারদের মধ্যে শাহজাদ ৮১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। আর, নাসিম ৯২ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটিও রাওয়ালপিন্ডিতে হবে ৩০ আগস্ট থেকে।