/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/05/rana-naved.jpg)
২০১০ সালে শেষবার পাকিস্তানের হয়ে মাঠে নামেন রাণা নভেদ
পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার রাণা নভেদ-উল-হাসান সম্প্রতি বলেছেন, দলের একাধিক সদস্য, "পাকিস্তান ক্রিকেটের বড় বড় নাম" সমেত, ২০০৯ সালে ইউনিস খানের অধিনায়কত্বের বিরুদ্ধে "চক্রান্ত" সাজিয়েছিলেন।
স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে ২০০৯ সালের একটি সিরিজ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে নভেদ বলেন, "সে বছর ইউএই (সংযুক্ত আরব আমিরশাহি)-তে আমরা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটো ওডিআই হেরে যাই, কারণ কিছু প্লেয়ার ইচ্ছে করে খারাপ খেলেছিলেন। আমি ওই ট্যুরে ছিলাম না। আমি খেলি নি কারণ আমি ইউনিস খানকে বলেছিলাম যে তোমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে, এবং আমিও সেই চক্রান্তে জড়িত," নভেদকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে 'ক্রিকেট পাকিস্তান'।
নভেদ আরও বলেছেন যে দলে কিছু সিনিয়র ছিলেন যাঁদের সম্ভবত নিজেদের আকাঙ্ক্ষা ছিল অধিনায়ক হওয়ার, এবং ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন "সাত থেকে আটজন"। নভেদের বক্তব্য, "এটা ইউনিস খানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ছিল না। ও খুব ভালো ক্রিকেটার ছিল, কোনও সমস্যা ছিল না, কিন্তু যেই ক্যাপ্টেন হলো, তখনই অন্য মানুষ হয়ে গেল।"
আরও পড়ুন: জিদানের সেই গুঁতো! অবশেষে নেপথ্য কাহিনী জানালেন মাতেরাৎজি
ষড়যন্ত্রকারী টিম সদস্যদের নাম করবেন না, একথা জানিয়ে নভেদ বলেছেন যে একবার এঁরা সকলে মিলে আনুগত্যের শপথ নিয়ে বলেছিলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যানকে তাঁরা অনুরোধ করবেন যেন ইউনিস খানকে বুঝিয়ে বলেন। "ওরা বলেছিল, আমরা চাই না ইউনিসকে সরানো হোক, তবে আমরা চাইব যে পিসিবি-র চেয়ারম্যান ওর সঙ্গে কথা বলে ওকে বোঝান, কারণ ইউনিস খান সিনিয়রদের পরামর্শ নেয় না, ক্যাপ্টেন হিসেবে নিজের যা ইচ্ছে তাই করে," বলেছেন নভেদ।
পাকিস্তানের হয়ে ন'টি টেস্ট খেলেছিলেন নভেদ, এবং গড়ে ৫৮ রান দিয়ে ১৮টি উইকেট নিয়েছিলেন। তবে একদিনের ক্রিকেটে অপেক্ষাকৃত সফল ছিলেন তিনি, ৭৪টি ম্যাচে ১১০টি উইকেট নেন গড়ে ২৯.২৮ রান দিয়ে, বোলিং গড় ছিল ৫.৫৭। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষবারের মতো পাকিস্তানের হয়ে খেলেন নভেদ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
 Follow Us