Advertisment

কেন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ, পাক ক্রিকেটের অজানা তথ্য ফাঁস করলেন মহম্মদ ইউসুফ

৯০টি টেস্ট, ২৮৮ একদিনের ম্যাচ এবং ৩টে টি২০ ম্যাচে পাকিস্তানের জার্সিতে খেলেছেন তিনি। তিন ফরম্যাটে তাঁর রানসংখ্যা যথাক্রমে ৭৫৩০, ৯৭২০ এবং ৫০।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

পাকিস্তান ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তিনি। ধ্রুপদী ব্যাটিংয়ে মন জয় করেছেন বিশ্বের। সেই মহম্মদ ইউসুফই এবার জানিয়ে দিলেন কেন ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।

Advertisment

পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ক্রিকেট বিশ্বে কেরিয়ারের প্রাথমিক পর্বে পরিচিত ছিলেন ইউসুফ ইউহানা নামেই। পরে ধর্ম পরিবর্তন করার পর নিজের নাম রাখেন মহম্মদ ইউসুফ।

তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনো প্রকার চাপের মুখে ধর্ম বদলাননি তিনি। বরং তিনি জাতীয় দলে সঈদ আনোয়ারের ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। তাঁর সান্নিধ্যেই ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন।

আরো পড়ুন: জাতীয় দলে থাকতে হলে নিয়ম মানো! KKR-এর বরুণকে কড়া বার্তা কোহলির

পাকপ্যাশন.নেট-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহম্মদ ইউসুফ জানালেন, "অনেকেই অভিযোগ করেন আমি নাকি চাপের সামনে ধর্ম ত্যাগ করেছি। এমনটা মোটেও নয়। আসল ঘটনা হল, আমি সঈদ আনোয়ারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলাম। মাঠ ও মাঠের বাইরে আমাদের বন্ধুত্ব অন্য পর্যায়ের ছিল। বাচ্চাবেলা থেকেই দুজনে একসঙ্গে বহু ক্রিকেট খেলেছি। সঈদের সঙ্গে এত সময় কাটাতাম যে ওঁর বাবা-মা আমাকে নিজের সন্তান মনে করতেন। ওঁদের বাড়িতে যখন যেতাম, দেখতাম কীভাবে শৃঙ্খলাপরায়ন জীবন যাপন করে ওঁরা। এটাই আমার কাছে আকর্ষণের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।"

এরপরেই তারকা আরো বলেছেন, "সঈদ আনোয়ার পুরোপুরি ধার্মিক হয়ে ওঠার আগে ওর জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত চোখের সামনে দেখেছি। ওঁর মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু কীভাবে আরো ওঁকে ঈশ্বরের দিকে ঠেলে দিল, সেটাও দেখেছি। সঈদের ধার্মিক হয়ে পড়াটা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার ছিল। ওটাই আমাকে ধর্ম পরিবর্তনে প্রভাবিত করেছিল।"

মহম্মদ ইউসুফের কেরিয়ারের সেরা সময় ২০০৬ সাল। সেই বছর ১১ টেস্টে ১৭৮৮ রান করেছিলেন। নয়টি শতরান সহ। সেই বছরেই এক ক্যালেন্ডার বর্ষে সর্বাধিক রান করার রেকর্ডে স্বয়ং স্যার ভিভ রিচার্ডসকে পেরিয়ে যান। তাঁর আগে টানা ৩০ বছর সেই রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন ভিভ রিচার্ডস।

২০০৫ সালে ধর্মান্তরিত হওয়ার পরে ২০০৬ সালেই ব্যাট হাতে একের পর এক রেকর্ড! মহম্মদ ইউসুফ এখনো মনে করেন, ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সমর্পণ করার জন্যই তাঁকে পুরস্কার দেন সর্বশক্তিমান।

ইউসুফ বলেছেন, "এমন নয় যে ২০০৬ সালে বিশেষ কিছু ট্রেনিং করেছি। ২০০৫-এর শেষের দিকেই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হই। সেই বছরে প্রথমবার ইসলামের প্রার্থনা করি। তারপর দাঁড়ি রাখায় মনে শান্তি আসে। সেই সময় মানসিক প্রশস্তি এমনই ছিল যে যেকোনো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।"

এরপর তাঁর সংযোজন, "আমার সবসময় মনে হয় ইসলাম ধর্মে কনভার্ট করার জন্যই আল্লা আমাকে উপহার দিয়েছিলেন ২০০৬ সাল। তার আগে কখনই ভাবিনি যে স্বয়ং ভিভিয়ান রিচার্ডসের রেকর্ড ভেঙে দেব। তবে সেই সময় মানসিকভাবে এমন জায়গায় ছিলাম যে খেলার দক্ষতার শীর্ষে উঠতে পেরেছিলাম। তখন মনে হত, আমাকে কেউই থামাতে পারবে না।"

৯০টি টেস্ট, ২৮৮ একদিনের ম্যাচ এবং ৩টে টি২০ ম্যাচে পাকিস্তানের জার্সিতে খেলেছেন তিনি। তিন ফরম্যাটে তাঁর রানসংখ্যা যথাক্রমে ৭৫৩০, ৯৭২০ এবং ৫০। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জার্সিতে শেষবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Pakistan Cricket
Advertisment