সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওয় পাকিস্তানি খাবারের প্রশংসা করেছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর, তার পরেই বিখ্যাত পাকিস্তানি ক্রীড়া উপস্থাপক ফখর-ই-আলম পাকিস্তানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এমএস ধোনিকে। একটি ভিডিওয় ধোনিকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'আপনাদের একবার খাবারের জন্য পাকিস্তানে যাওয়া উচিত। অসাধারণ।'
যাইহোক, মহেন্দ্র সিং ধোনির ভাইরাল ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, তিনি কোনও এক সমর্থককে বলছেন, "খাবারের জন্য পাকিস্তানে চলে যাও।" ভিডিওয় সেই সমর্থককে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সেই সমর্থক বিনীতভাবে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। জানিয়ছেন, যত ভালো খাবার-ই তাঁকে পাকিস্তানে অফার করা হোক না কেন, তিনি কখনই পাকিস্তানে যাবেন না।
যাইহোক, ফখরে আলম, এমনই এক ক্রীড়া উপস্থাপক, যিনি ওয়াসিম আক্রম, শোয়েব মালিক, মইন খানের মত প্রথমসারির পাক ক্রিকেটার এবং বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে থাকেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই ভিডিও দেখে তিনিই প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে পাকিস্তানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
ফখর-ই-আলম বলেছেন, 'ভাই @এমএস ধোনি, আপনি আমাদের হৃদয় জয় করেছেন। আমি মনে করি শুধু ক্রিকেটই নয়। খাবারের জন্যও আমাদের প্যাভিলিয়নে আপনার থাকা উচিত।'
আরও পড়ুন- দ্বিতীয় টেস্টের আগেই ‘উইকেট পতন’ প্রোটিয়াদের! বড় সুবিধা নিয়েই এবার মাঠে রোহিতের ভারত
ধোনি ২০০৬ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে পাকিস্তান সফর করেন। তিনটি টেস্ট এবং ১১টি ওয়ানডে খেলেছেন। তিনটি টেস্ট-এর মধ্যে তিনি ফয়জলাবাদে করেছিলেন সর্বোচ্চ ১৪৮ রান। সংগৃহীত গড় রান ছিল ৫৯.৬৬। আর, ১১টি একদিনের ম্যাচের মধ্যে, ধোনি করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে হংকংয়ের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের ম্যাচে অপরাজিত ১০৯ রান করেছিলেন। যা ছিল সর্বোচ্চ। কেরিয়ারের প্রথম দিকে ধোনি লম্বা চুল রাখতেন। লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে একদিনের ম্যাচের পর ধোনির চুলের কায়দার প্রশংসাও করেছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ।
আরও পড়ুন- ট্র্যাজেডির ভূমিকম্প টিম ইন্ডিয়ায়! কেপটাউন টেস্টে হয়ত নেই প্রিমিয়াম তারকাই
মোশারফ বলেছিলেন, 'আমি ধোনিকে জয়ের কান্ডারি হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানাতে পারি। আমি ধোনিকে বলতে পারি যে, আমি একটি প্ল্যাকার্ড দেখেছি যে আপনাকে চুল কাটার জন্য বলেছে। আপনি যদি আমার মতামত নিতে চান, তবে এই চুলে আপনাকে ভালোই দেখাচ্ছে। চুল কাটাবেন না।' পাকিস্তানে ধোনি ৪৬ বলে ১৩টি চারের সাহায্যে অপরাজিত ৭২ রান করেছিলেন। যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গে জুটিতে অপরাজিত ১০২ রান তুলেছিলেন। যার সাহায্যে ১৪ বল বাকি থাকতেই ভারত ২৮৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে। ধোনি, 'প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ'-এর পুরস্কার জিতে নেন।
আরও পড়ুন- বিদেশে কলঙ্কের দাগ কোচ রাহুলের CV-তে! সেরার সেরা টেস্ট কিংবদন্তির কোচিং রেকর্ডই লজ্জার