অস্ট্রেলিয়ায় পাকিস্তানের শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহকদের তালিকায় নিজের নাম না-দেখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) তীব্র নিন্দা করলেন প্রাক্তন পাকিস্তানি বোলার দানিশ কানেরিয়া। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ দানিশ লিখেছেন, 'পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সাহস, দেখুন। অস্ট্রেলিয়ায় আমি ৫ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়েছিলাম। কিন্তু, তারা আমার নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। এটা স্রেফ আমার বিরুদ্ধে বৈষম্যের জলজ্যান্ত উদাহরণ।'
প্রাক্তন লেগ-স্পিনার এই টুইটে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। তবে, টুইটের জবাবে এক নেটিজেন বলেছেন, এই তালিকা বোলিং গড়ের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। পিসিবি প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, বাঁহাতি পেসার ওয়াসিম আক্রম অস্ট্রেলিয়ার দ্য মেন ইন গ্রিন (পাকিস্তান)-এর জন্য সবচেয়ে কম গড় রান দিয়েছেন। কানেরিয়া ২৪টি উইকেট পেয়েছেন, এটা ঠিকই। কিন্তু, তিনি সেগুলো ৪০.৫৮ গড় রান দিয়ে পেয়েছেন।
এই যুক্তি দেওয়া হলেও কানেরিয়া কিন্তু, পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে কম রান দিয়ে উইকেট শিকারের তালিকায় প্রথমদিকেই আছেন। লাল বলে তিনি পাকিস্তানের চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। গড়ে ৩৪.৭৯ রান দিয়ে ২৬১ উইকেট শিকার করেছেন। পাকিস্তানের পেসারদের মধ্যে উইকেট শিকারে ওয়াসিম আক্রম (৪১৪), ওয়াকার ইউনিস (৩৭৩) এবং ইমরান খান (৩৬২) এগিয়ে আছেন।
দানিশের অভিযোগ নিয়ে যখন জলঘোলা চলছে, সেই সময় অস্ট্রেলিয়ার পার্থে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাক বোলিং আক্রমণকে রীতিমতো নির্বিষ দেখিয়েছে। পাকিস্তানের পেস ব্যাটারিতে গতির অভাবের জন্য দুঃখপ্রকাশ করতেও দেখা গেল ওয়াকার ইউনিসকে। তিনি দলের টেস্ট ম্যাচে ভয়াবহ পরাজয়ের কারণ হিসেবে পেসারদের গতির অভাবকেই দায়ী করেছেন।
ইউনিস এক টিভি শো-এ বলেছেন, 'আমরা যখন অস্ট্রেলিয়ায় আসি, একটি জিনিস আমাদের উদ্বুদ্ধ রাখে, তা হল ফাস্ট বোলিং। এইবার আমি সেটা দেখতে পাচ্ছি না। আমি মিডিয়াম পেসার বা স্লো মিডিয়াম পেসার, অলরাউন্ডার দেখছি। দলে সত্যিকারের পেসার নেই। লোকেরা এসে দেখত পাকিস্তানের পেস বোলাররা সত্যিই দৌড়াচ্ছে। আগুন ঝরানো বোলিং করছে। আমি এখানে সেটা দেখতে পাচ্ছি না।'
এটা শুধু পাকিস্তানের জাতীয় দলের সমস্যাই নয়। বর্তমানে পেসারের অভাবে পাকিস্তান ক্রিকেট ভুগছে, এমনটাই বোঝানোর চেষ্টা করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন কোচ। ইউনিস বলেন, 'এনিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। কারণ, আমি ঘরোয়া পর্যায়েও ফাস্ট বোলারদের দেখিনি। কয়েকজনের ইনজুরি আছে। সেটা বুঝতে পেরেছি। কিন্তু, অতীতে পাকিস্তান সবসময় ফাস্ট বোলারদের ব্যাটারি নিয়ে ঘোরে। দুর্ভাগ্যবশত এখানে সেটা নেই।' ইউনিসের এই সমালোচনার মধ্যেই বক্সিং ডে, অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে পাকিস্তান।