New Update
ICC World Cup 2019, Pakistan vs Afghanistan Highlights: রুদ্ধশ্বাস লিডসে শেষ হাসি পাকিস্তানের
ICC World Cup 2019, Pakistan vs Afghanistan 2019 Highlights: চলতি বিশ্বকপের অন্যতম রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের স্বাক্ষী থাকল লিডস। শেষ ওভার পর্যন্ত টানটান উত্তেজনায় ভরপুর ম্যাচে শেষ হাসি হাসল পাকিস্তান।
Advertisment
চলতি বিশ্বকপের অন্যতম রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের স্বাক্ষী থাকল লিডস। শেষ ওভার পর্যন্ত টানটান উত্তেজনায় ভরপুর ম্যাচে শেষ হাসি হাসল পাকিস্তান। ৩ উইকেটে আফগানিস্থানকে হারাল তারা।
রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচ চলছে লিডসে। বোঝা যাচ্ছে না, খেলাটা পঞ্চাশ না কুড়ি ওভারের। যে কোনও দল এই ম্যাচ ছিনিয়ে নিতে পারে। টানটান উত্তেজনা
লিডসে জয়ের সমীকরণ- ৪৮ বলে আর প্রয়োজন ৫৯ রান, এটা পাকিস্তানের প্রয়োজন। আফগানিস্থান চাইছে চার উইকেট। পাকিস্তান সহজে জেতা ম্য়চটার রঙই বদলে দিয়েছে। আফগান বোলারদের জন্য় কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।
এ কী করছে পাকিস্তান! নিজেদের কবর নিজেরাই খুঁড়ছে। উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসছে তারা। দেখতে দেখতে পাঁচ উইকেট চলে গেল। ফিরে গেলে শোহেলও। পাকিস্তানে ১৩ ওভারে প্রয়োজন আর ৮২ রান। ৩৭ ওভার ব্যাট করে ১৪৬ রান তুলতে গিয়ে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলল তারা। আফগানদের কিন্তু এই বিশ্বকাপে আর পাওয়ার কিছু নেই। অনেক আগেই তারা ছিটকে গিয়েছে। কিন্তু তাও লড়াইটা করে যাচ্ছেন। এটাই শিক্ষণীয়।
সহজ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমেও একের পর এক উইকেট হারিয়ে ফেলছে পাকিস্তান। ৩১ ওভারের শেষে চার উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান তুলল তারা। ১৯ ওভারে প্রয়োজন ৯৯ রান। শেষ উইকেট পতন হয়েছে মহম্মদ হাফিজের। হ্য়ারিসের সঙ্গে এখন ক্রিজে সরফরাজ আহমেদ রয়েছেন। পাকিস্তানকে এবার একটা পার্টনারশিপ গড়ে তুলতেই হবে।
বাবর আজম ক্লিন বোল্ড, আবার নবি, বাবরের উইকেটটা ছিটকে দিলেন স্পিনের ভেল্কিতে। আফগানিস্তানের আধিপত্য ম্যাচে। ২১ ওভারে পাকিস্তান তিন উইকেট হারিয়ে ৯০ রান তুলল। ক্রিজে এখন এক জোড়া নতুন ব্য়াটসম্য়ান-মহম্মদ হাফিজ আর হ্য়ারিস শোহেল।
দেখতে দেখতে পাকিস্তান ১৫টা ওভার খেলে ফেলল। ৭২ রান তাঁদের ঝুলিতে। গুলবদিন নইব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন উইকেট তুলে নেওয়ার। কিন্তু বাবর-ইমাম ঠিক করে ফেলেছিলেন যে, উইকেট তাঁরা দেবেন না সহজে। দেখতে গেলে এই ম্য়াচে আফগানরা ছাপ রাখতে পারছিলেন না। কিন্তু ইমামকে মহম্মদ নবি আউট করে দিলেন।
পাকিস্তানের জয়ের টার্গেট এমন কিছু নয়। ফখর জামান আর ইমাম-উল-হকের ওপেনিং জুটিতে রান তাড়া করতে নেমেছিল পাকিস্তান। কিন্তু কোনও রান না-করেই ফখর এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হয়ে যান। এখন বাবার আজমকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন ইমাম। সাত ওভারে ৩২ রান তুলেছে পাক বাহিনী।
দু-ম্যাচ খেলেই ৭ উইকেট তুলে নিলেন পাকিস্তানের তারকা পেসার।
জয়ের জন্য পাকিস্তানকে ২২৮ রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৭-এর বেশি তুলতে পারল না আফগানিস্তান। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে অপরাজিত থাকলেন শামিউল্লা শিনওয়ারি (১৯) এবং মুজিব উর রহমান (৯)।
শাহিন আফ্রিদির স্লোয়ারে ঠকে গিয়ে এবার উইকেট দিলেন রশিদ খান। এই নিয়ে চতুর্থ উইকেট দখল করলেন পাকিস্তানি পেসার। কার্যত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন উঠতি এই পেসার।
শাহিন আফ্রিদি এবার হাফসেঞ্চুরির আগে ফেরালেন নাজিবুল্লা জারদানকে (৪২)। ৫৪ বলের ইনিংসে হাফডজন বাউন্ডারি মেরেছেন। শেষ পর্যন্ত আফ্রিদির বলেই বোল্ড তিনি। ৪৬ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৮ আফগানিস্তান।
মহম্মদ নবি ৩৩ বলে ১৬ রান করে ফিরে গিয়েছেন। তবে আফগানদের ইনিংস টানছেন নাজিবুল্লা জাদরান। তিনি অপরাজিত রয়েছেন ৩৩ রানে। ক্রিজের অন্যপ্রান্তে শামিউল্লা শিনওয়ারি (৫)। রানের গতি কমে গিয়েছে। হাতে রয়েছে মাত্র ৪ উইকেট। ৪২ ওভার শেষে আফগানিস্তান ১৯০।
৬৪ রানের পার্টনারশিপে রীতিমতো আতঙ্ক সঞ্চার করেছিল পাকিস্তানি বোলারদের উপরে। অবশেষে আসগর আফগান (৩৫ বলে ৪২) এবং ইকরাম আলিখিলকে (৬৬ বলে ২৪) পরপর ফিরিয়ে দিলেন দুই স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম ও শাদাব খান। দু-জনে ফিরতেই রান ওঠার গতি কমে গেল। ক্রিজে এবার নাজিবুল্লা জাদরান ও মহম্মদ নবি। ২৯ ওভারে আফগানিস্তান ১৩০।
৩ জন প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছে। এর মধ্যে পালটা মারকেই অস্ত্র করে এগোচ্ছে আফগান ব্যাটসম্যানরা। ১৮.১ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ১০০ তুলে ফেলল তাঁরা। মারমুখী মেজাজে ব্যাটিং করছেন আসগর স্ট্যানিকজাই (১৯ বলে ৩৩) এবং ইকরাম আলিখিল (১২)। স্ট্যানিকজাই মূলত পালটা আগ্রাসনের রাস্তা বেছে নিচ্ছেন। শাদাব খান হোক বা ওয়াহাব রিয়াজ। কাউকেই রেয়াত করছেন না তাঁরা। ইতিমধ্যেই দু-জনের জুটিতে হাফসেঞ্চুরির কাছাকাছি রান উঠে গিয়েছে। ম্যাচে ফিরতে হলে পাকিস্তানকে অবিলম্বে এই জুটিতে ভাঙন ধরাতে হবে। ১৯ ওভার শেষে আফগানিস্তান ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলেছে ১০১। ওভার পিছু সাড়ে পাঁচের কাছাকাছি রান তুলছেন আফগান ব্যাটসম্যানরা।
তৃতীয় উইকেটের পতন আফগানিস্তানের। এবার ঘাতক স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম। ২৭ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরে আফগানদের টানছিলেন ওপেনার রহমত শাহ। সঙ্গী ছিলেন ইকরাম অলিখিল। শর্ট কভারে লুজ শট খেলে রহমত শাহ ফিরলেন। ৪৩ বলে ৩৫ রান করে আউট তিনি। ১৩ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে আফগানরা ৬২।
আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন। আফগানিস্তান ম্যাচে সেখান থেকেই শুরু করেছেন শাহিন আফ্রিদি। নিজের প্রথম ওভারেই তাঁর ঝটকায় জোড়া উইকেট হারিয়েছে আফগানরা। শুরুটা অবশ্য আফগানিস্তান অন্যভাবে করেছিল। বেশ মারমুখী ছিলেন দুই ওপেনার রহমত শাহ ও অধিনায়ক গুলাবদিন নাইব। তবে পঞ্চম ওভারে প্রথম বোলিং করতে আসেন শাহিন। নিজের ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে তিনি ফিরিয়ে দেন গুলাবদিন নাইব ও হাসমাতুল্লা শাহিদিকে। তাঁর হ্যাটট্রিকের সুযোগ আটকে দেন ইকরাম। গুলাবদিন সরফরাজের হাতে এবং হাসমাতুল্লা ইমাদ ওয়াসিমের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। ৭ ওভার শেষে আফগানিস্তান ২ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান তুলেছে।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ী একাদশই অপরিবর্তিত পাকিস্তানের। কোনও পরিবর্তন নেই।
পাকিস্তানঃ ইমাম উল হক, ফখর জামান, বাবর আজম, মহম্মদ হাফিজ, হ্যারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মহম্মদ আমির, শাদাব খান, ওয়াহাব রিয়াজ, শাহিন আফ্রিদি।
আফগানিস্তান দলে একটই পরিবর্তন। হামিদ হাসান দলে এলেন দৌলত জারদানের জায়গায়। বাকি একাদশ অপরিবর্তিত।
লিডসে আজ মুখোমুখি দুই প্রতিবেশী দেশ। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের অপেক্ষায় বিশ্বকাপ।
টসে জিতে প্রথমে ব্য়াটিং করার সিদ্ধান্ত নিল আফগানিস্তান। অর্থাৎ পাকিস্তানকে রান চেজ করতে হবে জয়ের জন্য়।