রীতিমতো এক মজার ঘটনায় বৃহস্পতিবার কয়েক মিনিটের জন্য থমকে থাকল অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্ট। মধ্যাহ্নভোজের পর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এমসিজি)-এ তৃতীয় আম্পায়ারের আসন দেখা যায় ফাঁকা। ম্যাচে তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্ব রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ। খোঁজ শুরু হয়ে যায়, ম্যাচের মধ্যেই কী হয়ে গেল তৃতীয় আম্পায়ারের!
এমসিজিতে বক্সিং ডে টেস্ট-এর তৃতীয় দিনের দ্বিতীয়ার্ধ স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৫-এ শুরু হওয়ার কথা ছিল। ক্রিজে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ। যাঁদের ওপর ভর করে সিরিজে লিড বাড়াতে মরিয়া অজি দল। তাঁরা সফল হন না, সেটা দেখার চরম আকাঙ্ক্ষা নিয়ে অপেক্ষায় দর্শকরা। সেই সময়ে তৃতীয় আম্পায়ারের আচমকা উধাও হয়ে যাওয়া নিয়ে শুরু হয়ে গেল সর্বস্তরে উসখুশ।
উভয় দলের খেলোয়াড় এবং আম্পায়ারদের এরপর জানানো হয় আসল কারণটা। তাঁদের বলে দেওয়া হয়, ম্যাচ শুরু হতে সামান্য দেরি হবে। কারণ, তৃতীয় আম্পায়ার ইলিংওয়ার্থ তাঁর আসনে ফেরেননি। কারণ, তিনি স্টেডিয়ামের লিফটের মধ্যে আটকে গেছেন। নিজের আসনেই ফিরছিলেন। সেই সময় ঘটেছে এই বিপত্তি। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরও তৃতীয় আম্পায়ার আসনে না-ফেরায়, শুরু হয় মুখ চাওয়াচাওয়ি। সেই সময় চতুর্থ আম্পায়ার ফিল গিলেসপি বাউন্ডারি থেকে তৃতীয় আম্পায়ারের বক্সে দৌড়ে যান। তিনিই তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্ব নেন। তারপর ম্যাচ শুরু হয়।
অবশেষে দেখা যায়, তৃতীয় আম্পায়ার আসছেন। মুহূর্তে ক্যামেরা ঘুরে যায় সেদিকে। ইলিংওয়ার্থ তাঁর আসনে বসছেন, সেটাও ধরা হয় ক্যামেরায়। মাঠ ছেড়ে তখন অফিসিয়াল ব্রডকাস্টারের ক্যামেরার নিশানায় ম্যাচের তৃতীয় আম্পায়ার। সঙ্গে চলতে থাকে ইলিংওয়ার্থকে নিয়ে ধারাবিবরণী, 'উনি এসেছেন। রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ শেষ পর্যন্ত কাজটা করতে পেরেছেন। তাঁকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে। হয়তো তিনি সিঁড়ি দিয়েই উঠে এসেছেন!' এই সব রসিকতা ভেসে আসতে থাকে ধারাবিবরণীর বক্স থেকে।
আরও পড়ুন- সৌরভের নাম নিয়ে পাকিস্তানকে চরম অপমান! অস্ট্রেলিয়ানদের ‘কাণ্ডে’ গর্বিত হবেন বাঙালিরাও
এবারই প্রথম না। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডটা নাকি প্রাক্তন ইংলিশ ক্রিকেটার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থের জীবনে কোনওদিনই সুখকর ছিল না। ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই মাঠে তিনি একটাও উইকেট পাননি। সেবারই ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আউট হওয়া শেষ ব্যক্তিও ছিলেন তিনিই। সেবার ইমরান খানের দল ২২ রানে বিশ্বকাপের ফাইনাল জিতেছিল। সেটাই ছিল ভারতের এই বিরূপ প্রতিবেশী দেশটির একমাত্র বিশ্বকাপ জয়।