পরপর জোড়া বিশ্বকাপ ভারতে। দুই বিশ্বকাপে খেলতে ভারতে আসার জন্য যাতে কোনো ভিসা সংক্রান্ত সমস্যায় না পড়তে হয়, সেইজন্য আইসিসির মাধ্যমে এখন থেকেই বিসিসিআইকে বার্তা দিয়ে রাখল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবি সিইও ওয়াসিম খান ক্রিকেটবাজ ইউটিউব চ্যানেলে জানিয়ে দিলেন, "২০২১ ও ২০২৩ আইসিসির জোড়া বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব ভারতের। আইসিসির কাছে আমাদের বার্তা বিসিসিআই যেন লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়। ভবিষ্যতে যেন ভিসা জনিত কোনো সমস্যায় না পড়তে হয় আমাদের।"
সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই আইসিসির কাছে লিখিত অনুরোধ জানিয়ে বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স আদায় করতে সচেষ্ট হয়েছে পিসিবি।
চলতি বছরে টি২০ বিশ্বকাপ যে হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তা একপ্রকার বলেই দেওয়া যায়। তবে আগামী বছর টি২০ বিশ্বকাপ কোথায় হয়, সেটাই আপাতত দেখার। সূচি অনুযায়ী, ভারতই বিশ্বকাপের আয়োজক। তবে আইপিএল আয়োজন করার পরে বিশ্বকাপে উৎসাহী নাও হতে পারে বিসিসিআই। সেক্ষেত্রে দের অজিদের ভাগ্যেই শিকে ছিঁড়তে পারে। আইসিসির এক কর্তা জানিয়েছেন, আইসিসির আসন্ন একজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকেই চূড়ান্ত হতে পারে আগামী বিশ্বকাপের আয়োজক দেশের নাম।
পাকিস্তান বোর্ডের শীর্ষ কর্তা ওয়াসিম খান জানিয়েছেন, যদি এই বছরে একান্তই বিশ্বকাপ আয়োজন না করা যায়, তাহলে ২০২২ এ তা করা যেতে পারে।
ঘটনা যাই হোক, বিশ্বকাপ খেলতে পাকিস্তানকে ভারতে আসতেই হবে। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে যাতে কোনো রকম ছাড়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা না হয়, তা অগ্রিম নিশ্চিত করতে চাইছে পিসিবি।
তিনি জানালেন, সাম্প্রতিক অতীতে বহু পাকিস্তান স্পোর্টস দল ভারতে পা রাখার অনুমতি পায়নি। "এই কারণেই আমরা আগেভাগে আশ্বাস চেয়েছি আইসিসির কাছ থেকে। পূর্ণ সদস্যের দেশ হিসেবে আমাদের নিরাপত্তা এবং টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করানোর পুরো দায়িত্ব আইসিসির।" জানিয়েছেন ওয়াসিম খান।
ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের রাজনৈতিক কারণে আপাতত দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার যে কোনো সম্ভাবনা নেই, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। বলেছেন, "বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আমাদের ভাল সম্পর্ক হওয়া সত্ত্বেও তবে বাস্তব পরিস্থিতি বিচার করলে এখনই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলা সম্ভব নয়।"
আইসিসির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে সৌরভকে পিসিবি সমর্থন করবে কিনা, তা-ও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, "সৌরভ কিংবা কলিন গ্রেভস নিজেদের ইচ্ছা এখনো খোলাখুলি স্বীকার করেননি। আমরা জানি না সৌরভ আইসিসির চেয়ারম্যান হতে চাইছে কিনা!" শশাঙ্ক মনোহরের ছেড়ে যাওয়া আসনে নাম উঠেছিল পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানিরও। তবে তিনি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, আপাতত সামনের তিন বছর পাক ক্রিকেটেই কাজ করতে চান তিনি।