/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/07/ayesha-naseem.jpg)
একসময় ধরা হত বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা উঠতি প্রতিভা হিসাবে। ওয়াসিম আক্রমও মুগ্ধ হয়েছিলেন বিস্ময় প্রতিভায়। পাকিস্তানের সেই দুর্ধর্ষ প্রতিভা আয়েশা নাসিম মাত্র ১৮ বছর বয়সেই ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ধর্মের কারণে।
ইসলামি মতাদর্শে নাকি মেয়েদের ক্রিকেট খেলা নিষিদ্ধ। সেই কারণেই ক্রিকেট থেকে দূরে সরে গেলেন হার্ড হিটার এই ব্যাটার। যে সময়ে অধিকাংশ ক্রিকেটার নিজেদের কেরিয়ার শুরু করেন, সেই সময়েই অবসর নিয়ে ফেললেন আয়েশা।
পাক মহিলা দলের ক্যাপ্টেন নিদা দার এমনকি পিসিবির তরফেও অনুরোধ করা হয়েছিল আয়েশাকে যাতে তিনি ক্রিকেট না ছাড়েন। তবে কারোর অনুরোধে কর্ণপাত না করেই ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্তে বহাল থাকেন আয়েশা। পিসিবির এক সূত্র জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে আয়েশা প্ৰথম পিসিবিকে জানান, যে তিনি ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দিয়েছেন। "একটা ট্রেনিং ক্যাম্পের জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তিনি পিসিবিকে জানিয়ে দেন, আর ক্রিকেট খেলতে ইচ্ছুক নন তিনি।" এমনটাই জানিয়েছেন বোর্ডের সূত্র।
আয়েশা স্পষ্ট পিসিবিকে বলে দিয়েছেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এবং তিনি "ইসলামিক মতাদর্শ অনুসরণ করে একজন ইসলাম ধর্মের অনুগামী হতে চান। নিদা দার সহ বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের পক্ষ থেকে বলা হয় ইসলামের অনুগামী হয়েও তিনি খেলা চালিয়ে যেতে পারেন। তবে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন আয়েশা।"
আয়েশা দ্রুত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছিলেন হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান হিসেবে। অল্প বয়সেই চারটে ওয়ানডে সহ ৩০টি টি২০-ও খেলে ফেলেছিলেন।
বলা হচ্ছে, আয়েশা একজন রক্ষণশীল পরিবার থেকে বেড়ে উঠেছেন। জাতীয় দলের হয়ে ক্রিকেট খেলার অনুমতি পাওয়ার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে সমস্যা হচ্ছিল। শেষমেশ ক্রিকেট খেলা ছেড়ে ইসলাম ধর্মে পুরোপুরি মনোনিবেশ করতে বাধ্য হলেন।
অতীতে পাকিস্তানের পুরুষ দলের বহু ক্রিকেটার খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর ধর্মে অনুরক্ত হয়ে পড়েছিলেন। সৈয়দ আনোয়ার, ইনজামাম উল হক, মহম্মদ ইউসুফ, সাকলিন মুস্তাক, মুস্তাক আহমেদ-সকলেই ধর্মকর্মে মন দিয়েছিলেন ক্রিকেট খেলা চালু রেখেই। ২০০২-এ মেয়ের মৃত্যুর পর আনোয়ার খেলাকেই বিদায় জানান। তবলিঘি জামাতের অংশ হয়ে এখনও ক্রিকেটের সঙ্গে সংস্রব বজায় রেখেছেন ইনজামাম উল হক, মুস্তাক, ইউসুফ, সাকলিনরা।
Read the full article in ENGLISH