Zainab Abbas makeup artist to commentator: ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালীন চর্চায় আসেন পাকিস্তানি অ্যাঙ্কর জাইনব আব্বাস। এখন প্রায় সব ক্রিকেটপ্রেমীই তাঁকে চেনে। তাঁর সৌন্দর্য এবং ক্রিকেট কমেন্ট্রির ভক্ত বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে। জাইনাবের জন্ম ১৯৮৮ সালে পাকিস্তানের লাহোরে। তাঁর বাবা একজন ক্রিকেটার ছিলেন এবং পাকিস্তানে অনেক ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন। যদিও জাইনাব তাঁর বাবার মতো ক্রিকেটার হতে পারেননি, তবে তিনি একজন দক্ষ ক্রিকেট কমেন্টেটর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।
জাইনাব তাঁর পড়াশোনা শেষ করেছেন ইংল্যান্ড থেকে, যেখানে তিনি এমবিএ করেছেন। তিনি একাধিক আন্তর্জাতিক ব্রডকাস্টারের সঙ্গে কাজ করেছেন। ভারতে তিনি ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে (ICC Cricket World Cup) কমেন্ট্রি করেছিলেন। এছাড়াও তিনি এশিয়া কাপও কভার করেছেন। মজার বিষয়, তাঁর কেরিয়ার শুরু হয়েছিল একজন মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে। তবে ভাগ্য তাঁকে নিয়ে যায় স্পোর্টস কমেন্ট্রির জগতে।
জাইনাবের বাবা নাসির আব্বাস পাকিস্তানে অনেক ঘরোয়া ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন, যদিও তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারেননি। তাঁর মা আন্দলিব আব্বাস পাকিস্তানের প্রাক্তন জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং বর্তমানে ইস্তেকাম-ই-পাকিস্তান পার্টির সঙ্গে যুক্ত। যদিও তাঁর মা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, জাইনাব কখনওই রাজনীতিতে পা রাখার চেষ্টা করেননি এবং আজও তিনি একজন পেশাদার ক্রিকেট কমেন্টেটর হিসেবেই কাজ করছেন।
আরও পড়ুন সৌরভের বাড়ি ঢুকতে বাধা বলিউড তারকাকে, চিনতে না পেরে দূর দূর করল গার্ড, তারপর যা হল...
জাইনাব আব্বাস ২০১৯ সালে হামজা কারদারের সঙ্গে বিয়ে করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিপুল সংখ্যক ফলোয়ার রয়েছে। শুধুমাত্র ইনস্টাগ্রামে তাঁর ৯.৩৬ লক্ষের বেশি ফলোয়ার রয়েছে এবং তাঁর পোস্টে লাখ লাখ লাইক পড়ে। বর্তমানে তিনি পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগ (PSL) কভার করছেন।
ক্রিকেট বিশ্বকাপের মাঝেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল তাঁকে নিয়ে। তিনি ভারত ও হিন্দুবিরোধী ট্যুইট করেছিলেন এক সময়, এই অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। জাইনাব আব্বাস বিশ্বকাপ চলাকালীন ভারত ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন বৈভবের প্রশংসা মোদীর মুখে, প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনলে গর্বিত হবেন আপনিও
পরে নীরবতা ভাঙেন জ়াইনাব। জানান, তাঁকে ভারত ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, 'আমাকে মোটেও ভারত ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়নি বা অপসারিত হইনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে, তাতে আমি ভীত। বিচলিত। আমার নিরাপত্তা নিয়ে এখনই কোনও প্রশ্ন না থাকলেও, দুই দেশেই আমার বন্ধুরা উদ্বিগ্ন। কী হয়েছে, সেটা বলার জন্য আমার কিছুটা সময় লেগেছে।'