সাল ১৯৯২, সেবার অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্য়ান্ড যুগ্মভাবে বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল। পোশাকি নাম ছিল বেনসন অ্যন্ড হেজেস ওয়ার্ল্ড কাপ। সকলকে চমকে দিয়ে বাইশ গজের শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা উঠেছিল পাকিস্তানের মাথায়। বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ইমরান খান অ্যান্ড কোং।
সাল ২০১৯, ক্রিকেটের শো-পিস ইভেন্টের আসর বসেছে ব্রিটিশ ভূমে। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের মাটিতে চলেছে ক্রিকেটের মহোৎসব। এবারও কি বিশ্বকাপ জিতবে পাকিস্তান? ২৭ বছর পর কি আবার ইতিহাস লিখবেন সরফরাজ আহমেদরা?
এই প্রশ্ন আদৌ উঠছে কেন? কারণ এমনটাই ভবিষ্য়দ্বাণী ক্রিকেট মহলের একাংশের। তাঁদের যুক্তি একটাই, 'হিস্ট্রি রিপিটস ইটসেল্ফ', অর্থাৎ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়! কেন তাঁরা এমনটা বলছেন? কারণ '৯২-এর সঙ্গে ২০১৯-এর চিত্রটা একেবারে ফটোকপির মতো মিলে যাচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত পাকিস্তান সাতটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে চলতি বিশ্বকাপে। ইমরানের পাকিস্তানের সঙ্গে যা যা হয়েছিল, সরফরাজের টিমের সঙ্গেও ঠিক সেটাই হলো! প্রথম ম্যাচে হার, দ্বিতীয় ম্যাচে জয়, তৃতীয় ম্য়াচ বৃষ্টিবিঘ্নিত, চতুর্থ ও পঞ্চম ম্য়াচে টানা হার, ষষ্ঠ এবং সপ্তম ম্যাচে ব্যাক-টু-ব্যাক জয়। সেবারও পাকিস্তান সাত নম্বর ম্যাচে কিউয়িদের মুখোমুখি হয়েছিল। আর এই অদ্ভূত সাদৃশ্য নিয়ে সরগরম নেটিজেনরাও। মেতেছেন সাধারণ মানুষ থেকে সেলেব, সকলেই।
আরও পড়ুন: ক্লিনিক্যাল পারফরম্য়ান্সে কিউয়ি বধ পাক বাহিনীর
যদিও ১৯৯২ সালের সঙ্গে এই কাকতালীয় মিল নিয়ে একেবারেই ভাবিত নন সরফরাজ। এজবাস্টনে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারানোর পর পাক অধিনায়ক বললেন, "আমরা ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি না। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ ভাবছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী। আশা করছি, দল হিসেবে ভাল পারফর্ম করব।"