পাকিস্তানের জাতীয় দলের প্রাক্তন পেসার সোহেল খান এবার চরম অসম্মান করলেন ইন্ডিয়ান সুপারস্টার উমরান মালিককে। বলে দিলেন, পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে উমরানের মত পেসার প্রচুর রয়েছে।
Advertisment
২০১৫-য় ওয়ার্ল্ড কাপ ম্যাচে কোহলির সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়া পাক তারকা দ্য নাদির আলি পডকাস্টে বলে দিয়েছেন, "বোলিং মেশিন ছাড়া কেউই শোয়েব আখতারের রেকর্ড ভাঙতে পারবে না। কোনও মানুষের পক্ষে এই কীর্তি করা সম্ভব নয়। উমরান মালিক নিঃসন্দেহে ভালো বোলার। ওঁর দু-একটা ম্যাচে বোলিং দেখেছি। খুব দ্রুত রান আপ। সবকিছুই ভালো। তবে যদি ১৫০+ বোলারদের বিষয় বিবেচ্য হয়, আমি এখনই পাকিস্তানের ঘরোয়া স্তরে টেপ বলে কমপক্ষে ১০-১২ জনের নাম বলতে পারি, যারা দেড়শ প্লাস স্পিডে বল করে। লাহোর কালান্ডার্স-এর ট্রায়ালে গেলেই অনেক এরকম বোলার দেখা যাবে।"
"উমরানের মত বোলার এখানে অনেক রয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে এরকম বোলার ভর্তি। ঘরোয়া ক্রিকেট স্তর অতিক্রম করে যখন কোনও বোলার জাতীয় দলে সুযোগ পায়, তখন সে সেরা বোলার হিসাবেই নিজেকে প্রমাণ করে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলতে নামে। শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হ্যারিস রউফ- নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করেছে। এরকম অনেক নাম বলতে পারি।"
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলার সময় উমরান নজরে আসেন। তারপরে গত দু বছরে উল্কার গতিতে জাতীয় দলে উত্থান হয়েছে তারকার। বোলিং আকশনের জন্য যেমন ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে তাঁর নাম ভেসে উঠেছে। তেমনই ভয়ঙ্কর পেসের জন্য উমরানের সঙ্গে ইতিমধ্যেই শোয়েব আখতারের তুলনা শুরু হয়ে গিয়েছে। আইপিএল ২০২২-এ ২২ উইকেট নেওয়া উমরান জাতীয় দলের হয়ে গত বছরই অভিষেক ঘটিয়ে ফেলেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি২০ দলে প্রথমবার জায়গা পান তিনি।
শোয়েব আখতারের দখলেই রয়েছে আপাতত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম বলের (১৬১.৮ কিমি/ঘন্টা) নজির। তবে উমরান দ্রুতই সেই রেকর্ড ভেঙে ফেলতে পারেন সেই আলোচনার জন্ম দিয়েছে কাশ্মীরি স্পিডস্টারের গতিময় বোলিং।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উমরান যদিও বলে দিয়েছেন, তিনি মোটেই শোয়েব আখতারের রেকর্ড ভাঙায় ফোকাস করছেন না। তাঁর প্রধান লক্ষ্যই টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ভালো পারফরম্যান্স করা। "এই মুহূর্তে আমার লক্ষ্য কেবল জাতীয় দলের হয়ে ভালো পারফর্ম করা। যদি ভালো খেলতে থাকি, ভাগ্য আমার পক্ষে থাকে, তাহলে সেই রেকর্ড ভাঙতে পারি। যদি না-ও হয়, তাতেও আমার কোনও সমস্যা নেই। তবে এটা নিয়ে খুব বেশি ভাবছি না।"