Imane Khelif wins gold at Paris Olympics: যাঁকে ঘিরে লিঙ্গ বিতর্কে উত্তাল হয়েছিল প্যারিস অলিম্পিক। সেই ইমেন খেলিফ শুক্রবারেই ওয়াল্টার ওয়েট বিভাগে সোনা জিতলেন। তারপরেই বলে দিলেন, নারী হয়ে জন্মেছেন তিনি। এবং নারী হিসেবেই এতদিন বেঁচেছেন।
"অন্য নারীর মতই আমিও নারী। নারী হয়ে জন্মেছি। বড় হয়েছি। তবে সব সাফল্যের শত্রু থাকে। তাঁরা আমার সাফল্য সহ্য করতে পারছে না।" বলে দিয়েছেন আলজেরিয়ার বিতর্কিত বক্সার।
ইমেন খেলিফ শুক্রবার ভরা দর্শকদের সামনে ফাইনালে হারান চিনের ইয়াং লিউকে। সারাক্ষণ দর্শকরা সমর্থন করে গিয়েছেন ইমেন খেলিফকে তাঁর নামে চিয়ার করে। ৫-০ ফলাফলে একপেশেভাবে জেতার পর কোচের কোলে উঠে পড়েন খেলিফ। তারপর কাঁধে চেপে চলে বিজয়োল্লাস। দর্শকদের কাছে থেকে চেয়ে নেন আজলেরিয়ার জাতীয় পতাকা।
গোটা বিশ্বজুড়ে তাঁর লিঙ্গ পরিচয় ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে। অনেক সেলেব তাঁর লিঙ্গ পরিচয়ের যৌক্তিকতা নিয়ে প্ৰশ্ন তুলেছেন। তা সত্ত্বেও প্যারিসের জনতা খেলিফকে সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছে।
আলজেরিয়ার প্ৰথম মহিলা বক্সার হিসাবে সোনা জিতলেন তিনি। আটলান্টা অলিম্পিকে শেষবার আলজেরিয়ার হকেইন সোলতানি সোনা জিতেছিলেন বক্সিংয়ে। তারপর সেই নজির ছুঁলেন ইমেন খেলিফ। ২০১২-য় লন্ডন অলিম্পিক থেকেই ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে মহিলাদের বক্সিং।
ফাইনালে তাঁর প্রতিপক্ষ চিনের ইয়াং বলেছেন, "ওঁর জন্য ভালো লাগছে। সকলকে সম্মান করি। এমনকি ওঁর থেকে বক্সিং শিখতেও আমি প্রস্তুত।" এই ইভেন্টে যুগ্মভাবে ব্রোঞ্জ পেলেন তাইল্যান্ডের জনজায়েম সুয়াংফেম এবং তাইওয়ানের চেন নিয়েন-চিন।
২০২৩-এ বিশ্ব বক্সিং প্রতিযোগিতায় খেলিফ এবং দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিনকে নামার ছাড়পত্র দেয়নি বিশ্ব বক্সিং প্রতিযোগিতা। সাংবাদিক সম্মেলনে আইবিএ-র তরফে বলা হয়েছিল, লিঙ্গ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি দুজন।
অলিম্পিক সংস্থা আবার লিঙ্গ পরীক্ষাকে আবশ্যিক ধরে নি। ২০১৬ এবং ২০২০-র অলিম্পিক নিয়ম অনুযায়ী খেলিফকে খেলার অনুমতি দেয় আইওসি। লিঙ্গ পরিচয় ছাড়াই।