অ্যাথলিট নীরজ চোপড়ার মা সরোজ দেবী কথা বলছেন; 2024 গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রো ফাইনালের পরে রৌপ্য পদক জয়ী ভারতের নীরজ চোপড়া এবং স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম একে অপরকে অভিবাদন জানাচ্ছেন। (পিটিআই ছবি)
Arshad Nadeem gold: ছেলের রুপো সোনার মতই। আর্শাদ নাদিম-ও তাঁর সন্তান। এমনটাই বললেন অলিম্পিকে ফের একবার ভারতকে গর্বিত করা নীরজ চোপড়ার মা সংবাদসংস্থা এএনআই-কে সরোজ দেবী বলে দিয়েছেন, "রুপোও সোনার মত লাগছে।"
Advertisment
"রুপোতেই আমি সন্তুষ্ট। যে ছেলেটা সোনা জিতল (আর্শাদ নাদিম), সে-ও আমার সন্তান। সকলে কঠোর পরিশ্রম করেই ওখানে খেলতে যায়।" আর্শাদ নাদিম, নীরজ চোপড়াদের খেলা দেখতে প্যারিসের স্টেড দি ফ্রান্স স্টেডিয়ামে উপমহাদেশের বহু সমর্থক হাজির হয়েছিলেন সম্ভাব্য পদকজয় দেখতে। সেটাই ঘটল। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন নীরজ চোপড়া দ্বিতীয় স্থানে ফিনিশ করলেন। আর পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিমের ফিনিশ একদম টপ পজিশনে থেকে।
২০০৮-এর বেজিং নরওয়ের আন্দ্রিয়াস থরকিল্ডসেন ৯০.৫৭ মিটার থ্রোয়ে অলিম্পিকের মঞ্চে সেরা দূরত্বের নজির গড়েছিলেন। সেই রেকর্ড চুরমার করে দিলেন নাদিম। দ্বিতীয় প্রচেষ্টাতেই নাদিম ৯২.৯৭ মিটার থ্রো করে বসেন।
রুপো জয়ী নীরজ চোপড়ার থ্রো ৮৯.৪৫ মিটার। গ্রানাডার এন্ডারসন পিটার্স ব্রোঞ্জ নিলেন ৮৮.৫৪ মিটারের থ্রোয়ে। নীরজের বাবা সতীশও নাদিমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বলে দেন, "প্রত্যেকেরই কোনও না কোনও দিন আসে। এদিনটা ছিল নাদিমের। ১২ জনের মধ্যে নাদিমই সোনা জিতল। ওঁকে অনেক শুভেচ্ছা।"
Advertisment
Neeraj Chopra's mother says “ I am happy with the silver, the guy who got gold ( Arshad Nadeem) is also my child, everyone goes there after doing a lot of hard work”
what grace from Neeraj Chopra's mother, something that people can learn a lot from ♥️
রুপো জিতলেও প্রত্যাশিত ছন্দে ছিলেন না নীরজ। কেন? বাবা বলছেন, কুঁচকির চোট ফাইনালে সমস্যায় ফেলছিল নীরজকে। ভারতের সোনার জ্যাভেলিন তারকা নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন, "আমি সবসময় ইনজুরিতে ভুগি। নাদিম সত্যি ভালো থ্রো করেছে। ওঁকে ওঁর দেশকে অভিনন্দন।"
অলিম্পিকে ট্র্যাক এন্ড ফিল্ড ইভেন্টে এই প্ৰথমবার সোনা জিতল পাকিস্তান। লস এঞ্জেলস অলিম্পিকে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তির ঘটেছে। চার বছর পর এই ইভেন্টে সোনাজয়ের দাবিদার ভারত-পাকিস্তান দুই দলই।
নাদিম দোভাষীর সাহায্য নিয়ে বলেছেন, "ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে কোনও সন্দেহই ছিল না। এবার সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার তালিকায় যোগ হল জ্যাভেলিন-ও। দেশে ভারত-পাকিস্তান দুই দলের সমর্থকরাই চেয়েছিলেন আমরা যেন একে অন্যকে ছাপিয়ে সোনা জিততে পারি। চোপড়া রুপো জেতায় আমি খুব খুশি।"